• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের প্রতিহতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সহিংসতার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ গ্রেপ্তার ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ফাইল আদান-প্রদান নাশকতাকারী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত ১৯৭ জনের মৃত্যু আজ রাতেই সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু : পলক চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিতে লেগুনা চালকের সাথে শ্রমিক লীগ নেতার চুক্তি হাজীগঞ্জে দুইটি গাড়ি পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা : মৃত্যুশয্যায় হেলপার

‘করোনার কারণে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি থমকে যায়নি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক
‘করোনার কারণে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি থমকে যায়নি’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সালমান এফ রহমান। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। করোনায় কর্মসংস্থান ও দেশীয় অর্থনীতিসহ বেশ কিছু বিষয়ে সম্প্রতি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন সাংবাদিক আবুল কাশেম। সাক্ষাৎকারটি নিচে তুলে ধরা হল-
করোনার কারণে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি তেমনভাবে থমকে যায়নি। কিছুটা স্থবিরতা ছিল, যা ইতিমধ্যে বাউন্স ব্যাক করেছে। সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার কাজ করছে। বিশেষ করে মিরসরাইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর, আড়াইহাজারে জাপান ইকোনমিক জোন ও মাতারবাড়িতে পুরোদমে উন্নয়ন কাজ চলছে। এসব ইকোনমিক জোনে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে।

আমরা সব সময় কর্মসংস্থান নিয়ে কথা বলি। কিন্তু আমি মনে করি না, যে বাংলাদেশে সেরকম হারে বেকারত্ব আছে। কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বলি, কৃষিখাতে ধান কাটার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। বেকারত্ব বেশি থাকলে তো অনেক শ্রমিক পাওয়ার কথা। ইন্ডাস্ট্রিতেও দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায় না। এখনও গার্মেন্টস সেক্টরে দক্ষ শ্রমিকের সংকট রয়েছে। ওষুধ সেক্টরে তেমন কোন দক্ষ শ্রমিকের অভাব আছে। লোক নিয়োগ দেওয়ার পর তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে নিতে হয়। তাই ইন্ডাস্ট্রিতেও গভীর বেকারত্ব আছে বলে আমি মনে করি না।
আমাদের দেশে বেকারত্ব আছে গ্রাজুয়েটদের মধ্যে। কারণ, তারা সবাই অফিসার হয়ে চেয়ার-টেবিল নিয়ে চাকরি করতে চায়। কিন্তু গ্রাজুয়েট হয়ে তারা কি কাজ করবে, সে বিষয়ে গ্রাজুয়েট হওয়ার আগে তারা কোন চিন্তা করে নাই। এখন আমাদের কাছে অনেক লোক এসে চাকরির জন্য অনুরোধ করে, তাদের বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস, ফার্সি, সংস্কৃতি, পালিসহ এ ধরণের বিভাগ থেকে পাস করেছে।
কোন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বেকার নেই। ফার্মেসি থেকে পাস করেছে কিংবা ভোকেশনাল থেকে পাস করা কাউকে বেকার পাওয়া যাবে না। পরিকল্পনা ছাড়া একটা বিভাগে পড়ে গ্রাজুয়েট হয়ে পরে বলবে যে, চাকরি পাচ্ছি না, তাহলে তো হবে না।
সরকার ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তৈরি করেছে। এখন আমাদের যেটা করতে হবে, সেখান থেকে ভোকেশনাল ট্রেনিং, ক্যারিয়ার প্লানিং এবং ক্যারিয়ার চয়েস নির্ণয় করতে হবে। গ্রাজুয়েট হওয়ার আগেই এসব চিন্তা করতে হবে। এজন্য গ্রাজুয়েট হওয়ার আগে তার গাইডেন্স দরকার। স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সেক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার আনা দরকার। ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয় দরকার। ইতিমধ্যে অনেক ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বয় শুরু হয়েছে। এটা আরও বাড়ানো দরকার এবং ইন্সটিটিউশনালাইজ করা দরকার।
গ্রাজুয়েট বেকারদের জন্য ভালো একটি কর্মসংস্থানের উপায় হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং। সরকার ফ্রিল্যান্সারদের আইডেনটিটি দিয়েছে, রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করেছে। এখন দেশে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রামের বাড়িতে বসেই তারা কাজ করতে পারছে।
গ্রাজুয়েট হয়ে যারা চাকরি পাচ্ছে না, তাদের অনেকে কম্পিউটার ট্রেনিং করে ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে। তাদের জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাসহ অনেকগুলো উদ্যোগ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাংক একাউন্ট খোলার সমস্যা দূর হয়েছে। এ পেশায় অনেকে সম্পৃক্ত হচ্ছে।
আরেকটা সুখবর হলো, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) সারাদেশে জেলা পর্যায়ে এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ট্রেনিং দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় প্রায় ২৫ হাজার জনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে চার হাজার ইতিমধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। এরা প্রায় সবাই গ্রাজুয়েট।
নতুন উদ্যোক্তা হওয়া এই চার হাজারের প্রত্যেকে যদি দুই জন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, তাহলে আরও ৮ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাদের দেখে অন্যরাও উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ পাবে। এভাবে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যে উদ্যোক্তা হয়ে গেছেন, তাদের কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেজন্য কাজ করছে সরকার।
সৌজন্যে: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১