অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ঘোষিত জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও জাতীয় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী ১১ মের পর জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও জাতীয় জরুরি অবস্থা আর বলবৎ থাকবে না। সোমবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিএনএনের।
সোমবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক নীতিমালাসংক্রান্ত বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রে যে জাতীয় জরুরি অবস্থা ও জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে, তার মেয়াদ শুধু আর একবারই বাড়ানো হবে। প্রতিটির মেয়াদই আগামী ১১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এরপর আর এর সময়সীমা বাড়বে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি–সংক্রান্ত সতর্কতা প্রত্যাহারের অন্তত ৬০ দিন আগে জনগণকে জানানো হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অঙ্গীকার করা হয়েছিল। তার সঙ্গে সংগতি রেখেই এ–সংক্রান্ত ঘোষণাটি দেওয়া হবে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে প্রতি ৯০ দিন অন্তর এর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১১ মে পর্যন্ত এসব জরুরি অবস্থা অব্যাহত থাকলেও এর আওতায় মাস্ক পরা কিংবা টিকা গ্রহণ করা নিয়ে বাধ্যবাধকতা থাকবে না। স্কুলে পাঠদান ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার ওপরও কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ওষুধ গ্রহণ ও পরীক্ষা করানোর ওপরও বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
অবিলম্বে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও করোনাজনিত জাতীয় জরুরি অবস্থার অবসান চেয়ে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের উত্থাপন করা দুটি বিলে ভোটাভুটি হওয়ার আগে হোয়াইট হাউস এমন বিবৃতি দিল। বাইডেন প্রশাসন বলছে, বিলগুলো অহেতুক। কারণ, তারা এমনিতেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করবে।
চলতি সপ্তাহে প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের উত্থাপন করা বিল নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা আছে।