হাজীগঞ্জে দাখিল পরীক্ষায় ১২২৭ জন অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০২০ জন। পাশের হার ৮৩.১২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ জন, এ গ্রেড ৩১৪ জন, এ মাইনাস ৩২২ জন, বি গ্রেড ২৩১ জন, সি গ্রেড ৯৭ জন ও ডি গ্রেড ১০ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২০৭ জন। উপজেলার ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং রাজাপুর ছিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে উপজেলায় জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সেরা অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদরাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১১২ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০৩ জন। পাশের হার ৯১.৯৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ জন, এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি গ্রেড ১৪ জন ও সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজারাগাঁও ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮২ জন। পাশের হার ৯১.৯৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, এ গ্রেড ২৯ জন, এ মাইনাস ২২ জন, বি গ্রেড ১৬ জন ও সি গ্রেড ১০ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নওহাটা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৪ জন। পাশের হার ৯১.৩৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ গ্রেড ১৫ জন, এ মাইনাস ২২ জন, বি গ্রেড ২৩ জন ও সি গ্রেড ১০ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭ জন।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে উচ্চগাঁও ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা। যদি ফলাফলের দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার মধ্যে সবচে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৭ জন। পাশের হার ৬৭.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, এ গ্রেড ১৯ জন, এ মাইনাস ৩ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন।
জিপিএ- ৫ পাওয়া অপর তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো, বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা, নেছারাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা ও হাজেরা আলী ক্যাডেট মাদরাসা। শতভাগ পাশ করা রাজাপুর ছিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৪ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি গ্রেড ১৪ জন ও সি গ্রেড ১ জন।
অপর দিকে ফলাফলে পিছিয়ে আছে উচ্চগাঁও ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা, মাদরাসায়ে আবেদীয়া মোজাদ্দেদীয়া, কাকৈরতলা ইসলামীয়া আলিম মাদরাসা, মদিনাতুল উলুম ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা ও বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা।