ঢাকা 6:29 am, Tuesday, 5 August 2025

মেঘনায় ইলিশের সাথে পাওয়া যাচ্ছে পাঙ্গাস

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:44:39 pm, Wednesday, 4 October 2023
  • 8 Time View

ছবি-ত্রিনদী

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় আর এক সপ্তাহ পরে ইলিশ ধরায় আসবে নিষেধাজ্ঞা। তখন অবসর হয়ে পড়বেন জেলেরা। বৃষ্টিতে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলেরা এখন দিন ও রাতে চষে বেড়াচ্ছেন নদী। পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ। একই জালে ধরা পড়ছে বড় ও মাঝারি সাইজের পাঙ্গাস মাছ। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। আর পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ থেকে ৮০০টাকায়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন ইলিশের আড়ৎগুলো দেখাগেল ইলিশ ও পাঙ্গাস কেনা-বেচার হাকডাক। তবে মুহুর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ইলিশ। পাঙ্গাস বিক্রি হয় একটু ধীর গতিতে।

চাঁদপুর শহর থেকে ইলিশ ক্রয় করতে আসা আব্দুল্লাহ জানান, ‘এখানে তাজা ইলিশ পাওয়া যায়। কোন ধরণের ভেজাল নেই। জেলেরা নিয়ে আসলে নিজে পছন্দ করে কেনা যায়। এক জেলের ধরে আনা ৫ হালি ছোট বড় ইলিশ কিনেছি। দাম নিয়েছে ২ হাজার ৭শ’ ৮০টাকা।’

এই মাছঘাটের প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, ‘বৃষ্টিতে নদীতে পানি বেড়েছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় সাগর থেকে অনেক জেলে নিরাপদে চলে এসেছে। ঠিক এই মুহুর্তে কিছু ইলিশ বিপরীতে অর্থাৎ সাগর থেকে নদীতে উজানের দিকে আসছে। তবে এটি আমার দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।’

আরেক ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আজকে কয়েকদিন বৃষ্টি বাড়াতে ইলিশ মাছ কিছুটা আমদানি বেড়েছে। আজকে আমাদের আড়তে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪টন ইলিশ খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হয়েছে। তবে এবছর ইলিশ ছোট এবং বড় সাইজের। মাঝারি সাইজের ইলিশ খুবই কম পাওয়া যাচ্ছে। আর যারা গুল্টি জাল দিয়ে ইলিশ ধরে তাদের জালের ফাঁদে ছোট থেকে শুরু করে বড় সাইজের ইলিশ ও পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যেক জেলেই কম-বেশী পাঙ্গাস পাচ্ছেন।’

এই আড়তের ব্যবসায়ী মো. হাসান বলেন, ‘ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি বিক্রি হয় ৩৫০-৫৫০টাকা। বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি করতে হয় কেজি হিসেবে। যে কারণে ৯০শ’ গ্রাম থেকে শুরু করে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ইলিশ আজকে বিক্রি হয়েচ্ছ ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। তবে এসব ইলিশে কোন বরফ দিতে হয় না। জেলেরা নিয়ে আসছেন আড়তে। মুহুর্তের মধ্যেই হাকডাক দিয়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লোকজন মুহুর্তে এসব ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

চাঁদপুর সদরের জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও নদীতে পানি বাড়লে ইলিশের প্রাপ্যতা কিছুটা হলেও বাড়ে। আর ঠিক এই মৌসুমটাতে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের বিচরণও বাড়বে। তবে আমরা এখন মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সচেতনতামূলক প্রচার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কারণ আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

একটি রাজনৈতিক দল বায়তুল মালের নামে চাঁদাবাজি করে বিএনপির উপর দোষ চাপাচ্ছে-লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক

মেঘনায় ইলিশের সাথে পাওয়া যাচ্ছে পাঙ্গাস

Update Time : 09:44:39 pm, Wednesday, 4 October 2023

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় আর এক সপ্তাহ পরে ইলিশ ধরায় আসবে নিষেধাজ্ঞা। তখন অবসর হয়ে পড়বেন জেলেরা। বৃষ্টিতে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলেরা এখন দিন ও রাতে চষে বেড়াচ্ছেন নদী। পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ। একই জালে ধরা পড়ছে বড় ও মাঝারি সাইজের পাঙ্গাস মাছ। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। আর পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৫০ থেকে ৮০০টাকায়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন ইলিশের আড়ৎগুলো দেখাগেল ইলিশ ও পাঙ্গাস কেনা-বেচার হাকডাক। তবে মুহুর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ইলিশ। পাঙ্গাস বিক্রি হয় একটু ধীর গতিতে।

চাঁদপুর শহর থেকে ইলিশ ক্রয় করতে আসা আব্দুল্লাহ জানান, ‘এখানে তাজা ইলিশ পাওয়া যায়। কোন ধরণের ভেজাল নেই। জেলেরা নিয়ে আসলে নিজে পছন্দ করে কেনা যায়। এক জেলের ধরে আনা ৫ হালি ছোট বড় ইলিশ কিনেছি। দাম নিয়েছে ২ হাজার ৭শ’ ৮০টাকা।’

এই মাছঘাটের প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, ‘বৃষ্টিতে নদীতে পানি বেড়েছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় সাগর থেকে অনেক জেলে নিরাপদে চলে এসেছে। ঠিক এই মুহুর্তে কিছু ইলিশ বিপরীতে অর্থাৎ সাগর থেকে নদীতে উজানের দিকে আসছে। তবে এটি আমার দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।’

আরেক ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আজকে কয়েকদিন বৃষ্টি বাড়াতে ইলিশ মাছ কিছুটা আমদানি বেড়েছে। আজকে আমাদের আড়তে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪টন ইলিশ খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হয়েছে। তবে এবছর ইলিশ ছোট এবং বড় সাইজের। মাঝারি সাইজের ইলিশ খুবই কম পাওয়া যাচ্ছে। আর যারা গুল্টি জাল দিয়ে ইলিশ ধরে তাদের জালের ফাঁদে ছোট থেকে শুরু করে বড় সাইজের ইলিশ ও পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যেক জেলেই কম-বেশী পাঙ্গাস পাচ্ছেন।’

এই আড়তের ব্যবসায়ী মো. হাসান বলেন, ‘ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি বিক্রি হয় ৩৫০-৫৫০টাকা। বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি করতে হয় কেজি হিসেবে। যে কারণে ৯০শ’ গ্রাম থেকে শুরু করে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ইলিশ আজকে বিক্রি হয়েচ্ছ ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। তবে এসব ইলিশে কোন বরফ দিতে হয় না। জেলেরা নিয়ে আসছেন আড়তে। মুহুর্তের মধ্যেই হাকডাক দিয়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লোকজন মুহুর্তে এসব ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

চাঁদপুর সদরের জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও নদীতে পানি বাড়লে ইলিশের প্রাপ্যতা কিছুটা হলেও বাড়ে। আর ঠিক এই মৌসুমটাতে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের বিচরণও বাড়বে। তবে আমরা এখন মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সচেতনতামূলক প্রচার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কারণ আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ।