ঢাকা 4:23 am, Tuesday, 5 August 2025

হাজীগঞ্জে প্রকৌশলী বাপ্পি হত্যার আড়াই বছর ২ ম্যানেজারসহ ৪জনকে আটক করেছে পিবিআই

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:12:43 am, Wednesday, 18 October 2023
  • 14 Time View

প্রকৌ. আবু বকর ছিদ্দিক বাপ্পি

হাজীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর প্রকৌশলী বাপ্পি হত্যার আড়াই বছর ২ ম্যানেজারসহ ৪জনকে আটক করেছে পিবিআই

 সোমবার (১৭ অক্টোবর ২০২৩) ৪জনকে হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত বাপ্পি হাজীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি হাজী সেলিম মিয়ার বড় ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হাজী সেলিম মিয়ার ব্রিকস ফিল্ডের ম্যানেজার গৌতম সাহা, সারের দোকানের ম্যানেজার সুকেশ এবং গৌতমের এলাকার সাগর ও অন্তু।

 আবু বকর (বাপ্পি) গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে রাত আনুমানিক ৯ টায় বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরত যায়নি। তাকে বাসায় ফেরতে দেরি দেখেই পরিবারের লোকজন তাকে খুজতে বের হন। ঐ সময় প্রকৌশলী বাপ্পি’র হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিরও সুইচ বন্ধ পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ হয়ে পড়ে।

ওই রাতেই হাজীগঞ্জ থানার পুলিশসহ সারা রাত খোঁজাখুজি করেও বাপ্পিকে না পেয়ে পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারী সকালে আলহাজ্ব মো. সেলিম মিয়া হাজীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা র‌্যাব কার্যালয়েও একটি অভিযোগ করেন। কিন্তু কোন অভিযোগেই প্রকৌশলী বাপ্পিকে খুঁজে বের করতে পারেনি।

২২ ফেব্রুয়ারী-২০২১ সালের সকালে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ- লক্ষ্মীপুর সড়কের জিয়ানগর ছোলাইমান বেপারী  বাড়ীর পুকুরে প্রকৌশলী বাপ্পি’র লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় পুরো হাজীগঞ্জে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রকৌশলী বাপ্পি’র লাশ পাওয়ার পর একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ডটি পরিবারের লোকজনই করেছে এবং প্রকৌশলী বাপ্পি আত্মহত্যা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়। সেই গুজবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। যা শুনে পুরো পরিবারটি হতাশ হয়ে পড়ে। এ সময় কোন কোন মিডিয়া বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেস্টা করে।

মামলার কিছুদিন যেতেই প্রকৌশলী বাপ্পি’র বাবা আলহাজ¦ মো. সেলিম মিয়া মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে হস্তান্তর করেন। সে থেকেই বর্তমানে পিবিআই পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছেন। দীর্ঘ আড়াই বছর পর পিবিআই পুলিশ সোমবার (১৭ অক্টোবর ২০২৩) ৪জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আলহাজ¦ মো. সেলিম মিয়ার ব্রিকস ফিল্ডের ম্যানেজার গৌতম সাহা, সারের দোকানের ম্যানেজার সুকেশ এবং গৌতমের এলাকার সাগর ও অন্তু।

প্রকৌশলী বাপ্পি’র বাবা ও মায়ের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ‘আমাদের বাপ্পি’র কোন শত্রু নেই, সে অত্যান্ত শান্ত ও চুপচাপ থাকতেন। সেদিন রাতে বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া পাই।ওই রাতে বহু খোঁজা খুজি করেছি। র‌্যাব-পুলিশের কাছে গিয়ে ছেলের নিখোঁজের সন্ধান চেয়েছি। দুদিন পর ছেলের লাশ পেয়েছি। আর আমাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আর যারাই এ হত্যার সাথে জড়িত আর সে যেই হউক তাকে আইনের আওতায় আনা হউক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

একটি রাজনৈতিক দল বায়তুল মালের নামে চাঁদাবাজি করে বিএনপির উপর দোষ চাপাচ্ছে-লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক

হাজীগঞ্জে প্রকৌশলী বাপ্পি হত্যার আড়াই বছর ২ ম্যানেজারসহ ৪জনকে আটক করেছে পিবিআই

Update Time : 12:12:43 am, Wednesday, 18 October 2023

হাজীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর প্রকৌশলী বাপ্পি হত্যার আড়াই বছর ২ ম্যানেজারসহ ৪জনকে আটক করেছে পিবিআই

 সোমবার (১৭ অক্টোবর ২০২৩) ৪জনকে হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত বাপ্পি হাজীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি হাজী সেলিম মিয়ার বড় ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হাজী সেলিম মিয়ার ব্রিকস ফিল্ডের ম্যানেজার গৌতম সাহা, সারের দোকানের ম্যানেজার সুকেশ এবং গৌতমের এলাকার সাগর ও অন্তু।

 আবু বকর (বাপ্পি) গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে রাত আনুমানিক ৯ টায় বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরত যায়নি। তাকে বাসায় ফেরতে দেরি দেখেই পরিবারের লোকজন তাকে খুজতে বের হন। ঐ সময় প্রকৌশলী বাপ্পি’র হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিরও সুইচ বন্ধ পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ হয়ে পড়ে।

ওই রাতেই হাজীগঞ্জ থানার পুলিশসহ সারা রাত খোঁজাখুজি করেও বাপ্পিকে না পেয়ে পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারী সকালে আলহাজ্ব মো. সেলিম মিয়া হাজীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা র‌্যাব কার্যালয়েও একটি অভিযোগ করেন। কিন্তু কোন অভিযোগেই প্রকৌশলী বাপ্পিকে খুঁজে বের করতে পারেনি।

২২ ফেব্রুয়ারী-২০২১ সালের সকালে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ- লক্ষ্মীপুর সড়কের জিয়ানগর ছোলাইমান বেপারী  বাড়ীর পুকুরে প্রকৌশলী বাপ্পি’র লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় পুরো হাজীগঞ্জে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রকৌশলী বাপ্পি’র লাশ পাওয়ার পর একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ডটি পরিবারের লোকজনই করেছে এবং প্রকৌশলী বাপ্পি আত্মহত্যা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়। সেই গুজবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। যা শুনে পুরো পরিবারটি হতাশ হয়ে পড়ে। এ সময় কোন কোন মিডিয়া বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেস্টা করে।

মামলার কিছুদিন যেতেই প্রকৌশলী বাপ্পি’র বাবা আলহাজ¦ মো. সেলিম মিয়া মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে হস্তান্তর করেন। সে থেকেই বর্তমানে পিবিআই পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছেন। দীর্ঘ আড়াই বছর পর পিবিআই পুলিশ সোমবার (১৭ অক্টোবর ২০২৩) ৪জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আলহাজ¦ মো. সেলিম মিয়ার ব্রিকস ফিল্ডের ম্যানেজার গৌতম সাহা, সারের দোকানের ম্যানেজার সুকেশ এবং গৌতমের এলাকার সাগর ও অন্তু।

প্রকৌশলী বাপ্পি’র বাবা ও মায়ের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ‘আমাদের বাপ্পি’র কোন শত্রু নেই, সে অত্যান্ত শান্ত ও চুপচাপ থাকতেন। সেদিন রাতে বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া পাই।ওই রাতে বহু খোঁজা খুজি করেছি। র‌্যাব-পুলিশের কাছে গিয়ে ছেলের নিখোঁজের সন্ধান চেয়েছি। দুদিন পর ছেলের লাশ পেয়েছি। আর আমাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আর যারাই এ হত্যার সাথে জড়িত আর সে যেই হউক তাকে আইনের আওতায় আনা হউক।