অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো দেশের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। আজ সোমবার মালদ্বীপে চলতি বছরের প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মুইজ্জু আরও বলেছেন, ১০ মে-এর মধ্যে ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপ ছাড়বেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
মালদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্টকে প্রতিবছর পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দিতে হয়। সে অনুযায়ী আজ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন মুইজ্জু। তবে প্রধান দুই বিরোধী দল এমডিপি ও ডেমোক্র্যাটের এমপিরা প্রেসিডেন্টের ভাষণ বর্জন করেছেন।
মুইজ্জু বলেন, ১০ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপের তিনটি বিমানঘাঁটির একটি থেকে ভারতীয় সেনারা সরে যাবেন। ১০ মে-এর মধ্যে অপর দুই বিমানঘাঁটি থেকেও ভারতীয় সেনারা বিদায় নেবেন।
প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু আরও বলেন, ‘কোনো দেশকে আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করতে কিংবা সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না।’
মালদ্বীপে ভারতের ৮৭ জন সেনা মোতায়েন রয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে মালদ্বীপ থেকে সব ভারতীয় সেনা সরানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুইজ্জু। মালদ্বীপের ‘ভারত প্রথম’ (ইন্ডিয়া ফার্স্ট) নীতি পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মুইজ্জু। আর গত নভেম্বরে তিনি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
ভারতবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় নিজ দেশেও বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন মুইজ্জু। আজ এমডিপি ও ডেমোক্র্যাট দলের আইনপ্রণেতারা তাঁর ভাষণ বর্জন করেন।
মালদ্বীপের ৮৭ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে এমডিপি ও ডেমোক্র্যাট—২ দলের ৫৬ জন এমপি আছেন। মুইজ্জু সরকারের প্রশাসনিক পদে যুক্ত হতে সাতজন এমপি পদত্যাগ করেছেন। সেদিক থেকে ৮০ সদস্যের পার্লামেন্টের অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের ভাষণ শুনেছেন ২৪ জন এমপি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মালদ্বীপের পার্লামেন্টের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বর্জনের ঘটনা। এমডিপি ও ডেমোক্র্যাট দলের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে অভিশংসনের জন্যও প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।