ঢাকা 5:20 pm, Saturday, 28 June 2025

চাঁদপুর জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:01:47 pm, Monday, 10 June 2024
  • 5 Time View

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি, মতলব দক্ষিণ, কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলাকে ইতোমধ্যে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১১ জুন পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে সদর ও হাইমচর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। আর এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে চাঁদপুর জেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে।

রোববার (৯ জুন) বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এবং মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, সর্বশেষ হালনাগাদকৃত তালিকানুযায়ী চাঁদপুর জেলা ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ২৯০টি। প্রথম পর্যায়ে একক গৃহের মাধ্যমে ১৩৫টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০৯টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১২৩টি এবং চতুর্থ পর্যায়ে ২১১টি অর্থাৎ ৪টি পর্যায়ে সর্বমোট ৫৭৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য পুনর্বাসনের আওতায় আরো ৭১২টি পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এসকল পরিবারকে এক টাকা সেলামীতে দুই শতক জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে।

কামরুল হাসান বলেন, এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে কবুলিয়াত রেজিষ্ট্রেশন, নামজারী, ও জমাখারিজ খতিয়ান সৃজন, সনদপত্র প্রদানসহ সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক কবুলিয়াত দলিলের জন্য পরিবার প্রতি ২৫৮টাকা, নামজারী ও খতিয়ান প্রদান বাবদ ১ হাজার ১৭০টাকা প্রদান করা হয়েছে। এতে নামজারী, জমি রেজিষ্ট্রেশন ও আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ তাদের কোন টাকা ব্যয় করতে হয় না। প্রতিটি একক গৃহের আয়তন ৪০০ বর্গফুট। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহে একটি টয়লেট, একটি রান্নার কক্ষ ও একটি ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুর একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়ায় পরবর্তীতে নদী ভাঙন কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে ভূমিহীন পাওয়া গেলে তাদেরকে যাচাই-বাছাইক্রমে পুনর্বাসন করা হবে। প্রধামন্ত্রীর ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজে আপনারাও আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, চাঁদপুর টেলিভিশন ফোরামের সভাপতি রিয়াদ ফেরদৌস, প্রেসক্লাবের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কে এম মাসুদ, বর্তমান সভাপতি শাওন পাটওয়ারী ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ মাসুদ আলম।

উপজেলাওয়ারী ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার হচ্ছে-চাঁদপুর সদর ১৯৭, ফরিদগঞ্জ ৫৬, কচুয়া ৯৩, হাজীগঞ্জ ৮৪, মতলব দক্ষিণ ১৯৪, মতলব উত্তর ১৮৫, শাহরাস্তি ৫৮ ও হাইমচর উপজেলায় ৪২৩ পরিবার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জে ইসকনের আয়োজনে রথ যাত্রায় হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণ

চাঁদপুর জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে

Update Time : 07:01:47 pm, Monday, 10 June 2024

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি, মতলব দক্ষিণ, কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলাকে ইতোমধ্যে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১১ জুন পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে সদর ও হাইমচর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। আর এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে চাঁদপুর জেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে।

রোববার (৯ জুন) বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এবং মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, সর্বশেষ হালনাগাদকৃত তালিকানুযায়ী চাঁদপুর জেলা ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ২৯০টি। প্রথম পর্যায়ে একক গৃহের মাধ্যমে ১৩৫টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০৯টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১২৩টি এবং চতুর্থ পর্যায়ে ২১১টি অর্থাৎ ৪টি পর্যায়ে সর্বমোট ৫৭৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য পুনর্বাসনের আওতায় আরো ৭১২টি পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এসকল পরিবারকে এক টাকা সেলামীতে দুই শতক জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে।

কামরুল হাসান বলেন, এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে কবুলিয়াত রেজিষ্ট্রেশন, নামজারী, ও জমাখারিজ খতিয়ান সৃজন, সনদপত্র প্রদানসহ সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক কবুলিয়াত দলিলের জন্য পরিবার প্রতি ২৫৮টাকা, নামজারী ও খতিয়ান প্রদান বাবদ ১ হাজার ১৭০টাকা প্রদান করা হয়েছে। এতে নামজারী, জমি রেজিষ্ট্রেশন ও আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ তাদের কোন টাকা ব্যয় করতে হয় না। প্রতিটি একক গৃহের আয়তন ৪০০ বর্গফুট। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহে একটি টয়লেট, একটি রান্নার কক্ষ ও একটি ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুর একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়ায় পরবর্তীতে নদী ভাঙন কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে ভূমিহীন পাওয়া গেলে তাদেরকে যাচাই-বাছাইক্রমে পুনর্বাসন করা হবে। প্রধামন্ত্রীর ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজে আপনারাও আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, চাঁদপুর টেলিভিশন ফোরামের সভাপতি রিয়াদ ফেরদৌস, প্রেসক্লাবের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কে এম মাসুদ, বর্তমান সভাপতি শাওন পাটওয়ারী ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ মাসুদ আলম।

উপজেলাওয়ারী ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার হচ্ছে-চাঁদপুর সদর ১৯৭, ফরিদগঞ্জ ৫৬, কচুয়া ৯৩, হাজীগঞ্জ ৮৪, মতলব দক্ষিণ ১৯৪, মতলব উত্তর ১৮৫, শাহরাস্তি ৫৮ ও হাইমচর উপজেলায় ৪২৩ পরিবার।