ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাবরা গ্রামে অবস্থিত একটি অদ্ভুত প্রেমের গল্পে শোনা গেল এক হৃদয়বিদারক অধ্যায়। ১৭ বছরের কিশোর মেহেদী এবং ৪০ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননী তাসলিমা, যাদের সম্পর্ক সমাজের চোখে ছিল ‘অসম’ ও ‘অসামাজিক’, সম্প্রতি পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের স্বপ্ন ছিল একসাথে জীবন শুরু করার, কিন্তু বাস্তবতা আর সমাজের নিয়ম তাদের সুখের পথ চিরতরে বন্ধ করে দিল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়া থেকে তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় আসার পর দেখা যায় এক আবেগপূর্ণ দৃশ্য—তাসলিমা ও মেহেদী একে অপরকে আঁকড়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাসলিমা বলছিলেন, “ও ছাড়া আমি বাঁচবো না, ওকে কেড়ে নিও না আমার কাছ থেকে।”
অপরদিকে, মেহেদী জানালেন, “ওর হাতটা ধরেই তো জীবনটা শুরু করতে চেয়েছিলাম এত তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলো সবাই।” থানা প্রাঙ্গণে কান্না, আকুতি, ভালোবাসা—এসবই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
পারিবারিক সম্মান, সামাজিক রীতিনীতি এবং আইনের চাপে পুলিশ তাদের আলাদা করে। আলাদা গাড়িতে তুলে দেওয়ার সময়, দুজনের চোখেই জল ছিল, আর তারা একে অপরকে শেষবারের মতো দেখে যাচ্ছিলেন, হয়তো মনে মনে প্রতিজ্ঞা করছিলেন, “প্রেম যদি সত্যি হয়, একদিন আবার দেখা হবে।”
সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তারা। আশ্রয় নিয়েছিলেন কুষ্টিয়ায়। ভালোবাসার সংসার গড়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন দুজনেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবে রূপ নিতে পারলো না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সম্পর্কটি সমাজের নিয়মে বিচার করতে হবে, না হৃদয়ের ভাষাকেই বুঝতে হবে?