জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, আগামি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাজীগঞ্জ বাজারের রাস্তা ও ফুটপাতের দখল ছাড়তে হবে। পহেলা আগস্ট থেকে রাস্তা, ফুটপাত ও ওয়াকওয়ে’তে হকার’সহ সবধরনের দখলমুক্ত থাকবে। যানবাহন ও মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তগুলো যে কোন ভাবেই বাস্তবায়ন করবো। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে মালামাল জব্দ’সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাজীগঞ্জে বাজারের যানজট নিরসণের লক্ষ্যে বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। গত ২১ জুন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, হকার, বিভিন্ন পরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজন ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর পরিবহনগুলোকে অবশ্যই রাস্তার বামপাশ চেপে দাঁড়াতে হবে। বোগদাদ ও আইদিসহ দূরপাল্লার পরিবহনগুলোকে অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থান থেকে যাত্রী ওঠা-নামা করতে হবে। বাজারের মধ্যে থেমে থেমে যাত্রী ওঠা-নামা করা যাবে না। এছাড়াও অটো-সিএনজি বাজারে দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। চলার পথে যাত্রী ওঠা-নামা করতে হবে। সিএনজি ও অটো স্ট্যাণ্ডে নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে বেশি গাড়ি রাখা যাবে না।
রাস্তা ও ফুটপাত ব্যবসা করার জায়গা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয়তো দেখা যাবে, আবার অনেকেই বলবে যানজটমুক্ত হয়নি। তবে আমরা বলবো, আমরা এই অব্যবস্থাপনার ইতি টানতে চাই। মানুষের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে চাই। আমরা নিয়ম মেনে চলতে চাই। এতে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে। পূর্ণাঙ্গভাবে বাজারের যানজটমুক্ত করণে আমরা বাইপাসের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। বাইপাস হলে, শহরের পরিধি বাড়বে।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নূর আজম বীন আখতারের উপস্থাপনায় সভায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাবেদ হোসেন চৌধুরী, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ আসফাকুল আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আলহাজ¦ মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিনসহ ব্যবসায়ী সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরিফ, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস মিয়া, মো. মাহবুবুর রশিদ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন যাত্রীবাহী পরিবহনের নেতৃবৃন্দ, বাজারের হকার ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এবং পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।