ঢাকা 1:08 pm, Tuesday, 12 August 2025
সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের আমদানি, তবে কমেনি দাম

ছবি-ত্রিনদী

চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চলতি মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ইলিশের আমদানি ছিলো কম। তবে গত কয়েকদিন আমদানি কিছুটা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। যার ফলে দামও কিছুটা কমেছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ছিলো ৩হাজার টাকা। এখন কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা। চলমান আমদানি অব্যাহত থাকলে বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে আড়তগুলোতে ইলিশ বেচাবিক্রির ব্যস্ততা দেখাগেছে।

দীর্ঘদিন সাগর উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ইলিশের ট্রলার আসা বন্ধ ছিলো। আজ মাছঘাটের পন্টুনে দেখাগেছে বড় একটি ইলিশের ট্রলার। সকাল ১০টার দিকে ওই ট্রলার থেকে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ আড়াতে নামাতে দেখাগেছে।

মাছঘাটের ছোট বড় প্রায় ৪০টি আড়তের সামনেই ইলিশের স্তুপ দেখাগেছে। পাইকারি ও খচুরা বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ। সাথে অন্যান্য প্রজাতির মাছও আছে। তবে অধিকাংশ আড়তের সামনেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। পাইকারি বিক্রির জন্য স্তুপ করা ইলিশ হাকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন আড়তদাররা।

হাজীগঞ্জ থেকে ইলিশ ক্রয় করতে আসা ক্রেতা সাইমুম রহমান বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় আজকে আড়তে ইলিশ বেশি। দামও কিছুটা কমেছে। তবে চাঁদপুরের লোকাল ইলিশ খুবই কম। খুচরা দোকান ঘুরে দেখছি যদি দর ঠিকথাকে তাহলে কিনব।

চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, ইলিশের দরদাম জানতে এসেছি। আড়াই হাজার টাকা কেজি দরে ইলিশ কেনা সম্ভব না। মাঝারি সাইজের ইলিশ খুবই কম। একেবারে ছোট এবং বড় সাইজের ইলিশ ঘাটে বেশি।

পিউর ইলিশ নামে প্রতিষ্ঠানের মালিক সুলতান মাহমুদ বলেন, পাইকারি স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার বড় সাইজের ইলিশ নিয়েছি। ওজন এক কেজির বেশি। বিক্রি হচ্ছে ২হাজার ৬শ’ টাকা করে। হাতিয়া থেকে আসা একই সাইজের খুচরা বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা করে।

খুচরা ইলিশ বিক্রেতা শামীম হোসাইন জানালেন ইলিশের বাজার দর। তিনি বলেন, এক কেজি ওজনের লোকাল ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০টাকা। হাতিয়ার ইলিশ প্রতিকেজি ২হজার ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৭শ’ থেকে ১হাজার ৮শ’ টাকা। ছোট সাইজের ইলিশ (২০০-২৫০গ্রাম) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।

চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি আব্দুল বারি জমাদার মানিক বলেন, ৩ থেকে ৪দিন ইলিশের আমদানি ছিলো গড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ মণ। কিন্তু পূর্বে এই পরিমাণ ইলিশ এক আড়তেই বিক্রি হয়েছে। তবে আজকে ইলিশের আমদানি কিছুটা বেড়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীদের বিগত দিনের লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে করণীয় বিষয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের আমদানি, তবে কমেনি দাম

Update Time : 11:05:07 am, Saturday, 9 August 2025

চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চলতি মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ইলিশের আমদানি ছিলো কম। তবে গত কয়েকদিন আমদানি কিছুটা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। যার ফলে দামও কিছুটা কমেছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ছিলো ৩হাজার টাকা। এখন কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা। চলমান আমদানি অব্যাহত থাকলে বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে আড়তগুলোতে ইলিশ বেচাবিক্রির ব্যস্ততা দেখাগেছে।

দীর্ঘদিন সাগর উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ইলিশের ট্রলার আসা বন্ধ ছিলো। আজ মাছঘাটের পন্টুনে দেখাগেছে বড় একটি ইলিশের ট্রলার। সকাল ১০টার দিকে ওই ট্রলার থেকে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ আড়াতে নামাতে দেখাগেছে।

মাছঘাটের ছোট বড় প্রায় ৪০টি আড়তের সামনেই ইলিশের স্তুপ দেখাগেছে। পাইকারি ও খচুরা বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ। সাথে অন্যান্য প্রজাতির মাছও আছে। তবে অধিকাংশ আড়তের সামনেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। পাইকারি বিক্রির জন্য স্তুপ করা ইলিশ হাকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন আড়তদাররা।

হাজীগঞ্জ থেকে ইলিশ ক্রয় করতে আসা ক্রেতা সাইমুম রহমান বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় আজকে আড়তে ইলিশ বেশি। দামও কিছুটা কমেছে। তবে চাঁদপুরের লোকাল ইলিশ খুবই কম। খুচরা দোকান ঘুরে দেখছি যদি দর ঠিকথাকে তাহলে কিনব।

চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, ইলিশের দরদাম জানতে এসেছি। আড়াই হাজার টাকা কেজি দরে ইলিশ কেনা সম্ভব না। মাঝারি সাইজের ইলিশ খুবই কম। একেবারে ছোট এবং বড় সাইজের ইলিশ ঘাটে বেশি।

পিউর ইলিশ নামে প্রতিষ্ঠানের মালিক সুলতান মাহমুদ বলেন, পাইকারি স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার বড় সাইজের ইলিশ নিয়েছি। ওজন এক কেজির বেশি। বিক্রি হচ্ছে ২হাজার ৬শ’ টাকা করে। হাতিয়া থেকে আসা একই সাইজের খুচরা বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা করে।

খুচরা ইলিশ বিক্রেতা শামীম হোসাইন জানালেন ইলিশের বাজার দর। তিনি বলেন, এক কেজি ওজনের লোকাল ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০টাকা। হাতিয়ার ইলিশ প্রতিকেজি ২হজার ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৭শ’ থেকে ১হাজার ৮শ’ টাকা। ছোট সাইজের ইলিশ (২০০-২৫০গ্রাম) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।

চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি আব্দুল বারি জমাদার মানিক বলেন, ৩ থেকে ৪দিন ইলিশের আমদানি ছিলো গড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ মণ। কিন্তু পূর্বে এই পরিমাণ ইলিশ এক আড়তেই বিক্রি হয়েছে। তবে আজকে ইলিশের আমদানি কিছুটা বেড়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীদের বিগত দিনের লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে।