মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে কালবৈশাখীর হঠাৎ ঝড়ে বেশ কিছু বাড়িঘর ধ্বংসস্তুফে পরিণত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৭ মার্চ) বেলা তিনটার দিকে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চোঁ ও নোয়াদ্দা, পৌরসভাধীন রান্ধুনীমূড়া ও আড়াখাল গ্রামে এ ক্ষয়খতির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ঝড়ে টোরাগড় গ্রামে বড়কুল খেয়া ঘাটে একটি নৌকা উল্টে মো. শফিউল্যাহ্ (৮০) নামের একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এদিন বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এর মধ্যে মাত্র ৫ মিনিটে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চোঁ ও নোয়াদ্দা, পৌরসভাধীন রান্ধুনীমূড়া ও আড়াখাল গ্রামে বেশ কয়েকটি ঘর বিধস্তসহ অন্তত ২০টি বসতঘর টিনের চালা উড়ে যায় এবং অর্ধশতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়ে।
এছাড়াও পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামসহ রান্ধুনীমুড়ার মমতাজ উদ্দিন হাজী বাড়ীর জামে মসজিদ, লাল মিয়া জামে মসজিদ ও বড় বাড়ীর মঠ মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে গাছপালা উপড়ে পড়ে বসতঘর, বিদ্যুতের লাইন,সিএনজিচালিত স্কুটার ক্ষতিগ্রস্ত এবং সড়কে গাছপালা পড়ে যানবাহন চলাচাল বন্ধ হয়ে যায়।
একই সময়ে পৌরসভাধীন টোরাগড় গ্রামের দক্ষিণ পাড়া টোরাগড়-বড়কুল খেয়া ঘাটে ডাকাতিয়া নদীতে নৌকা উল্টে পানিতে ডুবে শফিউল্যাহ্ নামের একজন গুরুতর আহত হন। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা।
এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত রায়চোঁ, রান্ধুনীমুড়া ও আড়াখাল গ্রামের ধীরেন্দ্র সাহা বাড়ীর জয়দেব, কে আর সাহা, দুলা মিয়া বেপারী বাড়ীর মোস্তফা মিয়া ও আলী আকবর, বঞ্জের বাড়ীর সোহেল, জমিরা বাড়ীর শুকুর আলী, রান্ধুনীমুড়া গ্রামের সুমন ও দাইমুদ্দিনসহ প্রায় ২০ টি বসতঘর তিগ্রস্ত হয়।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সাজেদুল কবির জোয়ার্দার সংবাদকর্মীদের বলেন, তিগ্রস্ত এলাকায় ভেঙে পড়া গাছপালা সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় এবং লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিহতের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে সড়কে উপড়ে পড়া গাছ ও ডালপালা পরিস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।