ঢাকা 5:20 pm, Sunday, 27 July 2025

ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে বাসদের বিক্ষোভ

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:40:48 am, Friday, 6 December 2024
  • 26 Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি॥
বাসদের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের নতুন বাজার মোড়ে সমাবেশ ও শহরে লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাসদ চাঁদপুর জেলার সমন্বয়ক কমরেড শাহজাহান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, জেলা কমিটির নেতা দিপালী রানী দাস ও জি এম বাদশা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৮০ সালে বাসদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সম্পদ রক্ষার আন্দোলন, ডব্লিউ রহমান ও চাঁদপুর ষ্টার আলকায়েদ জুট মিলের শ্রমজীবী মানুষের সকল লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যতদিন শোষনহীন সমাজব্যবস্থা তথা সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৫আগস্ট এদেশে ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনের পতন হলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বহাল রয়েছে। বর্তমান অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারও জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারেনি, ভাংতে পারেনি আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। দেশের প্রায় ২৬% মানুষ খাদ্য নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। এখনো শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামলে পুলিশের গুলিতে জীবন দিতে হয়। এখনো একদল সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাজার, মঞ্জির, দরগা ভাংগে, সব তৈয়ারী করে মানুষ হত্যা করে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির পক্ষে ভারত সরকার অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত ও অপপ্রচার করছে। ভারতের কলকাতা, আগরতলা ও মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাংচুর ও জাতীয় পতাকার অগ্নিসংযোগ করা হয়। এটি অগ্রহণযোগ্য। আমরা নিন্দা জানাই। এসব ঘটনার দুই দেশের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে পুষ্টি যোগালেও ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদে ফেলছে দুই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নিরীহ জনগণকে। দুই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নিরিহ জনগণকে।

নেতৃবৃন্দ ভারত ও বাংলাদেশের উগ্রবাদী গোষ্ঠির সাম্প্রদায়িক উসকানির ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সকল দেশবানীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

শহীদ হান্নানের একমাত্র সন্তান বাবার মুখ দেখেনি

ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে বাসদের বিক্ষোভ

Update Time : 08:40:48 am, Friday, 6 December 2024

নিজস্ব প্রতিনিধি॥
বাসদের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের নতুন বাজার মোড়ে সমাবেশ ও শহরে লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাসদ চাঁদপুর জেলার সমন্বয়ক কমরেড শাহজাহান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, জেলা কমিটির নেতা দিপালী রানী দাস ও জি এম বাদশা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৮০ সালে বাসদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সম্পদ রক্ষার আন্দোলন, ডব্লিউ রহমান ও চাঁদপুর ষ্টার আলকায়েদ জুট মিলের শ্রমজীবী মানুষের সকল লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যতদিন শোষনহীন সমাজব্যবস্থা তথা সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৫আগস্ট এদেশে ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনের পতন হলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বহাল রয়েছে। বর্তমান অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারও জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারেনি, ভাংতে পারেনি আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। দেশের প্রায় ২৬% মানুষ খাদ্য নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। এখনো শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামলে পুলিশের গুলিতে জীবন দিতে হয়। এখনো একদল সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাজার, মঞ্জির, দরগা ভাংগে, সব তৈয়ারী করে মানুষ হত্যা করে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির পক্ষে ভারত সরকার অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত ও অপপ্রচার করছে। ভারতের কলকাতা, আগরতলা ও মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাংচুর ও জাতীয় পতাকার অগ্নিসংযোগ করা হয়। এটি অগ্রহণযোগ্য। আমরা নিন্দা জানাই। এসব ঘটনার দুই দেশের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে পুষ্টি যোগালেও ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদে ফেলছে দুই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নিরীহ জনগণকে। দুই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নিরিহ জনগণকে।

নেতৃবৃন্দ ভারত ও বাংলাদেশের উগ্রবাদী গোষ্ঠির সাম্প্রদায়িক উসকানির ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সকল দেশবানীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।