মতলব উত্তর ব্যুরো:
সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী শৃঙ্খলা আইন অনুযায়ী দেশের বাইরে যেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদেশ সফর করলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন (সানি) নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অনুমতি বিহীন দেশের বাইরে যাওয়া কেন্দ্র করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, উপজেলার ৬৬নং এখলাছপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন (সানি) গত ১ অক্টোবর সৌদি আরব গমন করেন। পরে একই মাসের ১৫ তারিখ দেশে আসেন। তার বিদেশ যাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছিল না। তিনি সরকারী চাকুরীজীবি এই তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট করেন এবং ভিসা প্রসেসিং করেছেন। অথচ শিক্ষা অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী তিনি ১৮ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য প্রাইমারি টিচারস ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট (পিটিআই) আলীগঞ্জ, চাঁদপুর এ অবস্থান করছেন।
মতলব উত্তর উপজেলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ভূঁঞা বলেন, যদি কোন শিক্ষক বা কর্মচারী বিদেশে যেতে চান তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে যাবেন। আর সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৮ মাসের ট্রেনিং আছেন। এই সময়টা ডেপুটেশন ধরা হয়। এবং প্রশিক্ষণে থাকা অবস্থায় কোনক্রমেই দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে প্রাইমারি টিচারস ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট (পিটিআই) চাঁদপুর এর সুপারিন্টেডেন্ট (চলতি দায়িত্বে) মুহাম্মদ ইস্রাফীল বলেন, প্রশিক্ষণ চলাকালীন সহকারী শিক্ষক অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলে ১০ দিনের ছুটি নিয়েছেন। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে যাবেন, তা বলেন নাই।
এখলাছপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ওই গ্রামে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের পিতা ফার্মেসী ব্যবসা করেন। ওষুধ একটি কোম্পানী তাকে ওমরাহ পালনের প্যাকেজ দিয়েছেন, ওই প্যাকেজে তিনি না গিয়ে সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন গিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি সরকারি বন্ধের মধ্যে ওমরা হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরব গিয়েছিলাম।