মনিরুল ইসলাম মনির:
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান। এখন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। আর এজন্য প্রধানমন্ত্রী সকল পদক্ষেপই নিয়েছেন। আর এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রধান সৈনিক হবে নতুন প্রজন্ম। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ৪টি ভিত্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। তাই প্রথমেই আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে মতলব উত্তর উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২২২ জন শিক্ষার্থীকে ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ। স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা,স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন,স্মার্ট ইউটিলিটিজ, নগর প্রশাসন, জননিরাপত্তা, কৃষি, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। সবাই এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে এদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নিজেদের (শিক্ষার্থী) কে মনোনিবেশ করবে সেটাই আমাদের কাম্য। নিজেদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আজকের নতুন প্রজন্মের মেধাবী প্রতিনিধিরাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশকে নেতৃত্বে দেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ভাবতেন। তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে নতুন প্রজন্ম। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বমানের শিক্ষা পেয়ে সুনাগরিক হতে পারে। যেকোনো জায়গার শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুধু তাল মিলিয়েই চলা নয়, উন্নত প্রযুক্তিটাও যেন সে আয়ত্ত করতে পারে। সেই ভাবেই তাদের গড়ে তুলতে হবে। কারণ, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা শতভাগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। আর শেখ হাসিনা সেই দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। তাই জনগণ আগামী নির্বাচনেও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনবে।
মতলব উত্তর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে ও ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঢালী কামরুজ্জামান হারুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, চাঁদপুর জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজাদুর রহমান।
বক্তব্য দেন, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ কুমার দে, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম খান, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার সুশীল চন্দ্র সরকার, লুধুয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন, গজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শহীদ উল্লাহ প্রধান, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন সরকার মুকুল, ছেংগারচর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার প্রমুখ।