শুক্রবার সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে চাঁদপুর জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন হবে। এরা মূলত: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারী।
ঈদুল আযহা’র প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় সাদ্রা ঈদগাঁ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের জামাতের ইমামতি করেন, মাওলানা আরিফুর রহমান সাদ্রাভী, এছাড়াও সাদ্রা দরবার শরীফের আরেকটি ঈদগাঁহে ইমামতি করবেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী।
১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহা পালন উদযাপন শুরু করেন। এরপর থেকে চাঁদপুরের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ রোজা ও আগাম ঈদ পালন করে আসছেন। তবে তাঁরা বলছেন, সৌদিআরব নয়, চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেই রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।
হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে মাওলানা ইছহাক চৌধুরীর অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাও. আরিফুর রহমান সাদ্রাভী সংবাদকর্মীদের বলেন, সৌদিআরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো উদযাপন করে থাকি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিতর্কের কিছুই নেই। আমরা কোরআন হাদীস অনুযায়ী চাঁদ দেখে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। একদিন না একদিন সবাই আমাদের সিদ্ধান্তের সাথে এক হবেন।