চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মনির হোসেন (৪৫) নামে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় স্থানীয় জনতা তাকে গণপিটুনি দেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার এবং মনির হোসেন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রূপাকে আটক করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার লাকসাম এলাকা থেকে বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নে বসতি স্থাপন করে মনির হোসেন। শনিবার বিকালে মনির ও রূপার সঙ্গে মেয়েটি (১৩) জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে। রাতে বাড়ি ফিরে মেয়েটি তাদের ঘরেই আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় আলাউদ্দিন, ফয়েজ বক্সসহ কয়েকজন জানান, বাড়ির পাশের একটি খালে রাতে কিছু লোকজন পানি সেচ করছিল। এ সময় মনির হোসেনের ঘর থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পান তারা। ভোরবেলা ওই মেয়েটিকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন তারা। এছাড়া মনির হোসেন তার স্ত্রী রুপাকে জোর করে বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং লোকজন জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানালে উত্তেজিত জনতা মনির হোসেনকে গণপিটুনি ও তার বাড়ি ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং মনির হোসেন ও তার স্ত্রীকে রূপাকে আটক করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টিম তাদের সহায়তা করে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করি। মনির হোসেন ও তার স্ত্রীকে আটক করেছি। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।