বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২৬ হাজার ৬২০ টন কয়লা কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে চীনের জাহাজ।
শনিবার ভোর ৫টায় চীনের পতাকাবাহী জাহাজটি বন্দরের হাড়বাড়ীয়ায় পৌঁছায়।
স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেড খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, ২১ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে জাহাজটি ছাড়ে।
লাইটার জাহাজের মাধ্যমে চীনা জাহাজটি থেকে কয়লা খালাস ও পরিবহণের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ও ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টিতে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলায় পৌঁছায়।
২০১০ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তাপ বিদ্যুৎ করপোরেশনের (এনটিপিসি) মধ্যে বাগেরহাটের রামপালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সমঝোতা হয়। এর দুই বছর পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি এনটিপিসির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। তবে শুরু থেকেই সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা।
এরপর কয়লা সংকটে কয়েকবার কেন্দ্র বন্ধ হয়েছিল। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন হয় পাঁচ হাজার টন কয়লা।
কয়লার অভাবে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে দেশব্যাপী লোডশেডিং চলছে।