হাজীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দেখে চেম্বারে রোগী রেখে পালিয়েছে এক ডেন্টিস্ট চিকিৎসক দম্পতি। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক ডেন্টাল কেয়ার নামক ডেন্টিস্ট দম্পতির চেম্বারটি সীলগালা করে।
পালিয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা হলো ডেন্টিস্ট মো. বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ডেন্টিস্ট পেয়ারা বিল্লাল। তারা চিকিৎসক না হয়েও নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার এবং প্যাড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
পরে পদধারী ডাঃ মো. বিল্লাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন এবং চেম্বারে আসছেন বলে আসেন নি। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক দীর্ঘ দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে চেম্বারটি সিলগালার নির্দেশনা দেন। এদিকে ডেন্টাল কেয়ারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দেখে হাজীগঞ্জ বাজারের অন্যান্য দন্ত চিকিৎসার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাটারে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
একই দিন হাজীগঞ্জ বাজারের ৫টি বে-সরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগণস্টিক সেন্টারসহ একটি ডেন্টাল কেয়ারে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পৃথকভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নগদ মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং একটি ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মো. আবু সাঈদ মোস্তফা, উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মো. শামছুল ইসলাম রমিজ, মো. জসিম উদ্দিন ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আসাদুল কবিরসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর পূর্বে মঙ্গলবার দিনব্যাপী হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ১৩টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের দুইটি টিম অভিযান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে ১১টি হাসপাতাল ও ডায়াগণস্টিক সেন্টারে পৃথকভাবে নগদ মোট ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় এইচ জি হেলথ কেয়ারের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয় এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখতে বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।