হাজীগঞ্জে কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের মাড়কি জাবালে নূর জামে মসজিদ ভাংচুর, লুঠপাট ও ইমামকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন, মসজিদের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন।
এর আগেও গত ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ও ১৯ মার্চ (সোমবার) রাতে মসজিদটি ভাংচুর করা হয়। ওই সময়ে মসজিদটি ভাংচুরসহ মসিজদের সাউন্ডবক্স, মেশিন, মাইক্রোফোন, টেবিল ফ্যান, বাইসাইকেল, লেপতোষক, সিমেন্টসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়।
উল্লেখিত দুইটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মসজিদের সভাপতি। অভিযোগে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন মেম্বার, মো. মাসুদ, মো. আ. রহিম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সোহরাব হোসেন, মো. অনিক, মো. কোরবান আলী, মো. ইব্রাহিম, মো. সুলতান, আব্দুল মান্নান, মো. নাজির, মোঃ সুফিয়ান, মোঃ ওমর ফারুক, মো. সাহেদ ও ফেরদৌসী বেগমসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়।
জানা গেছে, মাড়কি জাবালে নূর জামে মসজিদটি ওয়াকফের পর ২০২১ সাল থেকে নিয়মিত জুমআ’র নামাজ আদায়সহ সকল ওয়াক্তের নামাজ ও ধর্মীয় দিবসসমূহ সহ কোরআন ও হাসিদের আলোকে আলোচনা হয়ে হয়ে থাকে। আর প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় এক শ্রেণির মানুষ মসজিদটির ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। যার কারণে তারা, মসজিদটি রাতের আধাঁরে ভাংচুরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন জানান, আহলে হাদিস সমর্থিত আর অভিযুক্তরা সুন্নী মতাদর্শের হওয়ায় তাদের সাথে আমাদের মিল না থাকায় বিভিন্ন সময়ে মসজিদ ও মসজিদের ভিতরের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ভাংচুর করে আসছে। এতে মসজিদটির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে তারা। বিষয়টি আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনকে (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) জানিয়েছি। এছাড়াও আগের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে তারা মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। যেটুকু বাকি রয়েছে, তাও শেষ করবে তারা। এমন আশঙ্কায় ভুগছি আমরা। তাই স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযোগের বিবাদী ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন মেম্বার বলেন, মসজিদ ভাংচুরের সাথে আমি জড়িত নই। তারা শুধু শুধু আমাকে হয়রানি করে আসছে।
বিষয়টি জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য রতনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ ও পরবর্তীতে ব্যাক না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ সংবাদকর্মীদের জানান, এ ঘটনা উভয় পক্ষকে নিয়ে সুরাহার (সমাধান) চেষ্টা চলছে।