সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেজ খুলে চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার দায়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতাররা হলেন- আনাছ শেখ, কামাল শেখ, ইয়ানুর মোল্লা, জোবায়ের হোসেন, রুবেল শেখ, সাগর হোসেন, আলীনূর ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। গত সোম ও মঙ্গলবার ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ খুলনা, নড়াইল ও যশোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে অর্ধশত মোবাইল ফোনসহ চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বুধবার এ তথ্য জানান।
তালেবুর রহমান বলেন, ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর অনলাইন শপ’, ‘চাঁদপুর ইলিশ বাজার’, ‘চাঁদপুর ইলিশ ঘাট’- ইত্যাদি নামে ফেসবুকে পেজ খুলে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। এভাবে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তারা। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২৫টি মোবাইল ফোন ও ৭০টি অবৈধ সিম উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিসি বলেন, গত বছর ২০ নভেম্বর মাসুম বিল্লাহ নামে এক ক্রেতা ‘চাঁদপুর ইলিশ বাজার’ পেজে বিজ্ঞাপন দেখে বিকাশে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। টাকা পাঠানোর পরেও তার ঠিকানায় ইলিশ না পাঠানো হলে তিনি খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ মামলা তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রের আটজনকে গ্রেফতার করে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পেজ খুলে প্রতারণা করে আসছিল।
অর্ধশত মোবাইলসহ দুই চোর গ্রেফতার
ডিসি তালেব আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর কদমতলীর ‘দ্যা গেজেট অ্যাম্পরিয়াম টেলিকম’ দোকানে অভিযান চালিয়ে আল আমিন ও হাবিব সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অর্ধশত ফোন জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৮ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- চক্রের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসব চোরাই মোবাইল ফোন কিনতেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পলাতক অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। বৈধ কাগজপত্র দেখে স্বীকৃত দোকান থেকে ফোন কেনার পরামর্শ দিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।