হাজীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে রুমা রানী ঘোষ (২৫) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তবে তার পরিবারের দাবি তাকে মারধর ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকার ফায়ার সার্ভিসের পেছনে একটি ভবনের ভাড়া বাসা এ ঘটনা ঘটে।
রুমা রানী ঘোষ এলাকার আকাশ সরকারের (৩০) স্ত্রী ও রুমা রানী ঘোষ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহরা গ্রামের ঘোষ বাড়ির উত্তম ঘোষের মেয়ে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু আহাম্মদ চৌধুরী’সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
রুমার মা প্রতিমা ঘোষ জানান, মেয়ে রুমার অসুস্থতার কথা বলে তাকে ফোন করে জরুরি বাসায় আসতে বলেন, জামাই আকাশ সরকার। এরপর তিনি বাসায় এসে দেখেন রুমার মৃতদেহ ফ্লোরে পড়ে আছে এবং রুমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জামাইকের কাছে জানতে পারেন।
তিনি বলেন, ৬/৭ বছর পূর্বে তারা সম্পর্ক (প্রেম) বিয়ে করেছে। বিয়ের পর জানতে পারি, সে (আকাশ) ঠিকমতো আয় রোজগার করেনা এবং মাদক খায় (সেবন করে)। এরপর নাতির দিকে তাকিয়ে আমার মেয়ে বিউটি পাল্লারে কাজ শুরু করে। আর সে মেয়েকে সবসময় নির্যাতন করে। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগও দিয়েছি।
রুমাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে সংবাদকর্মীদের বলেন, যদি আত্মহত্যা করে, তাহলে আমার মেয়ের জামা-কাপড় ছেঁড়া কেন? তার গায়ে (শরীর) মারধরের চিহৃ আছে। সে আমার মেয়েকে মেরে জানালার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাছাড়া জানালার সাথে ফাঁসি (ফাঁস) দিয়ে আত্মহত্যা করা যায় নাকি ?
এদিকে শাশুড়ির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আকাশ সরকার বলেন, আমি দুইটা/আড়াইটার দিকে ঘরে এসে খাটের উপর ঘুমিয়ে পড়ি। পরে ঘুম থেকে জেগে দেখি সে (রুমা) জানালার সাথে ঝুলে আছে। এরপর আমি তাকে নামিয়ে সবাইকে ফোন দেই। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে, তা আমি জানিনা।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রুমা ঘোষের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন ও মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Reporter Name 


















