হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া:
শাহরাস্তিতে ওয়াজ মাহফিল কে কেন্দ্র করে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার (৫-জানুয়ারি) দুপুরে শাহরাস্তি হোসেনপুর এলাকা থেকে বেশ কিছু জনগণ এসে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই ওয়াজ মাহফিল বন্ধের একটি আবেদন দেন।
অভিযোগকারীরা জানান, উপজেলার হোসেনপুর এলাকায় আহলে হাদীস নামের একটি সংগঠনের ধর্মীয় প্রচার-প্রচারণার নানা অসংগতির বিষয়ে তুলে ধরে তাদের আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে বন্ধ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদের নিকট এই দরখাস্ত জমা দেন।ওই গ্রামের শানু স্বর্ণকারের পুত্র রওশন আলী সুমন স্বাক্ষরিত আবেদনে দেখা যায় হোসেনপুর গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ীর সংলগ্ন মাঠে ২ দিন ব্যাপী ৬ ও ৭ জানুয়ারি ২০২৩ইং ” ইত্তিবা’ উস সুন্নাহ কনফারেন্স নামে একটি ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। এতে হ্যান্ডবিল পোষ্টার ও গেইটে যে সকল বক্তার নাম দেওয়া হয়েছে তাদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ তোলেন। এছাড়া এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আগত লোকজন উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকায় স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তোলেন।
একই সঙ্গে তারা ওই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ওয়াজ মাহফিলটি বন্ধের দাবিতে আবেদন জমা দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের দাবি ধৈর্য সহকারে অবহিত হয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় দুই পক্ষ যেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখেন সে নির্দেশনা প্রদান করেন। এদিকে এ ওয়াজ মাহফিল আয়োজক মামুন রেজার ভাই হাসান ইমাম গণমাধ্যমকে জানান, এই মসজিদ কমপ্লেক্স টি এবং এই দোয়া মাহফিল সম্পূর্ণ আমাদের পরিবারের ভাই বোন নিকট আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব গ্রামবাসীরা আর্থিক সহযোগিতা পরিচালিত হয়ে থাকে।
এতে দেশি-বিদেশি কোন প্রকার অর্থ বা অনুদান নেই। বিগত বছরের মতো এবারও প্রশাসনের জানিয়ে আমরা পারিবারিক ভাই বোন, তাদের বন্ধু বান্ধব, গ্রামবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় এই মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করি।এবারও দেশের প্রখ্যাত আলেম-ওলামাদের নিয়ে ওয়াজের আয়োজন করা হয়। যাতে গ্রামীণ জনপদে ধর্মীয় জ্ঞানে পিছিয়ে থাকা সাধারণ মানুষ দিন আমেল অর্জনে সক্ষম হবে। এছাড়া তারা আরো বলেন, আমাদের মসজিদে প্রতি জুমায় দেশের বিখ্যাত আলেম-ওলামা জুমার খুতবা ও বয়ান পেশ করে থাকেন, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ওই খুতবা তেলাওয়াত শুনে থাকেন। আমাদের মসজিদের খুতবার মিম্ভারটি মালয়েশিয়ার মসজিদের আদলে করা হয়েছে।
বর্তমানে এই মিলাদ মাহফিলের পিছনে ধর্মীয় প্রচার প্রচারণার বাইরে তাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই বলে জানান। এছাড়া কতিপয় ব্যক্তিদের আনীত অভিযোগের বিষয়ে জুমার দিন মসজিদে এসে অমীমাংসিত বিষয়ের ফয়সালা করার অনুরোধ করেন। অন্যদিকে মিলাদ মাহফিলের অন্যান্য লোকজন জানান আমাদের আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে এই মুহূর্তে অনুষ্ঠানটি বন্ধ হলে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এদিকে এ প্রসঙ্গে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, মিলাদ মাহফিলের বিষয়টি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয় অনুমোদন দিলেই পুলিশ এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।