ঢাকা 2:14 am, Tuesday, 1 July 2025

হাজীগঞ্জের হাটিলায় মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষন বন্ধ না করায় ইউপি চেয়ারম্যানের হামলা, আহত-৩

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:44:49 pm, Tuesday, 21 February 2023
  • 9 Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মরণে মাইকিং ও সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে চলমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ও দেশাত্মবোধক সংগীত বন্ধ না করায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, ধড্ডা গ্রামের মো. আনিছুর রহমানের ছেলে মো. ফয়সাল কবির (২৮), একই গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সোহাগ হোসেন (২৯) ও কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২)। তারা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত যুবক মো. ফয়সাল কবির নামের। অভিযোগে তিনি হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান (একেএম মজিবুর রহমান) (৬০) ও তার ছেলে মো. জনি (৩৪) এবং একই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে রবিউল ইসলামকে (৩৫) বিবাদী করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামে ভাষা শহীদদের স্মরণে মাইকিং ও সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন ও দেশাত্মবোধক সংগীত (গান) বন্ধ করার জন্য বাধা সৃষ্টি করেন ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে বিবাদী মো. জনিসহ রবিউল ইসলাম। বিষয়টি নূর মোহাম্মদ অভিযোগের বাদী ফয়সাল কবিরকে জানান।

এরপর ফয়সাল কবির বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মজিবুর রহমানকে জানান। এতে ইউপি চেয়ারম্যান বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষন বন্ধ করার জন্য বলেন। কিন্তু বাদী তাঁর নিষেধ অমান্য করে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষন চালালে উল্লেখিত বিবাদীরা একজোট হয়ে দলবদ্ধভাবে গ্রামের অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাদীসহ অভিযোগের স্বাক্ষীদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।

এছাড়াও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আহতরা যেন ডাক্তারী (চিকিৎসা) সেবা নিতে না পারে, সেজন্য গ্রাম থেকে বাহির হওয়ার রাস্তা ও পথ বন্ধ করে তাদেরকে গৃহবন্ধী করে এলাকায় আটকে রাখেন বিবাদীরা। পরবর্তীতে বাদী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে, তারা তাদেরকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

এ দিকে এ ঘটনায় অভিযোগের বিবাদী ও হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম মজিবুর রহমানের সাথে তাঁর ব্যবহৃত মূঠোফোনে (০১৭৫৪-৫৪৪৬১৬) ওই দিন একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ ও ব্যাক না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু সেনসেটিভ তাই গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

প্রবাসীর স্ত্রী ইভা ২৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও

হাজীগঞ্জের হাটিলায় মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষন বন্ধ না করায় ইউপি চেয়ারম্যানের হামলা, আহত-৩

Update Time : 09:44:49 pm, Tuesday, 21 February 2023

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মরণে মাইকিং ও সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে চলমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ও দেশাত্মবোধক সংগীত বন্ধ না করায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, ধড্ডা গ্রামের মো. আনিছুর রহমানের ছেলে মো. ফয়সাল কবির (২৮), একই গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সোহাগ হোসেন (২৯) ও কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২)। তারা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত যুবক মো. ফয়সাল কবির নামের। অভিযোগে তিনি হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান (একেএম মজিবুর রহমান) (৬০) ও তার ছেলে মো. জনি (৩৪) এবং একই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে রবিউল ইসলামকে (৩৫) বিবাদী করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামে ভাষা শহীদদের স্মরণে মাইকিং ও সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন ও দেশাত্মবোধক সংগীত (গান) বন্ধ করার জন্য বাধা সৃষ্টি করেন ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে বিবাদী মো. জনিসহ রবিউল ইসলাম। বিষয়টি নূর মোহাম্মদ অভিযোগের বাদী ফয়সাল কবিরকে জানান।

এরপর ফয়সাল কবির বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মজিবুর রহমানকে জানান। এতে ইউপি চেয়ারম্যান বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষন বন্ধ করার জন্য বলেন। কিন্তু বাদী তাঁর নিষেধ অমান্য করে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষন চালালে উল্লেখিত বিবাদীরা একজোট হয়ে দলবদ্ধভাবে গ্রামের অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাদীসহ অভিযোগের স্বাক্ষীদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।

এছাড়াও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আহতরা যেন ডাক্তারী (চিকিৎসা) সেবা নিতে না পারে, সেজন্য গ্রাম থেকে বাহির হওয়ার রাস্তা ও পথ বন্ধ করে তাদেরকে গৃহবন্ধী করে এলাকায় আটকে রাখেন বিবাদীরা। পরবর্তীতে বাদী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে, তারা তাদেরকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

এ দিকে এ ঘটনায় অভিযোগের বিবাদী ও হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম মজিবুর রহমানের সাথে তাঁর ব্যবহৃত মূঠোফোনে (০১৭৫৪-৫৪৪৬১৬) ওই দিন একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ ও ব্যাক না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু সেনসেটিভ তাই গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।