জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জের মিয়াকোজিমার কাছে ১০ জন ক্রু এবং যাত্রী বহনকারী একটি সামরিক হেলিকপ্টার যোগাযোগ হারিয়ে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫৬ মিনিটে রাডার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় হেলিকপ্টারটি। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা আজ সাংবাদিকদের জানান, হেলিকপ্টারে থাকা ১০ জনকে উদ্ধার করার জন্য উদ্ধারকারীরা দক্ষিণ জাপান সমুদ্রে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ এবং নিখোঁজদের সন্ধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।
ইতিমধ্যেই অনুসন্ধানকারীরা সাগরে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছেন এবং নিখোঁজদের অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন। এই অনুসন্ধান থেকে থেকে যদি কোন জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া না যায়, তবে দুর্ঘটনাটি হবে ১৯৯৫ সালের পর জাপানের সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা। নিখোঁজদের মধ্যে আছেন, দুইজন পাইলট, দুইজন মেকানিক এবং ছয়জন যাত্রী।
জাপান কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি টহল নৌকা থেকে ‘গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স’ লেখা একটি লাইফবোট উদ্ধার করেছে তারা। আজ ভোরে হেলিকপ্টারের একটি জানালার ফ্রেম, একটি দরজা এবং একটি রটার ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। এটি ছিল একটি বহুমুখী হেলিকপ্টার যা মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক ডাটাবেস অনুসারে, ১৯৯৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি একটি মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স ফ্লাইং বোট ওকিনাওয়াতে বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে কমপক্ষে ১০ জন লোক প্রাণ হারিয়েছিল। গতকালের আগে এটিই ছিল জাপানের সর্বশেষ ভয়াবহ সামরিক বিমান দুর্ঘটনা।