ইসরায়েলকে বাঁচাতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোয়ান। তিনি এক কথায় বাইডেনকে হুংকার দিয়ে বলেছেন। আপনারা যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে যুদ্ধ দির্ঘায়িত হবে। আমরাও কিন্তু বসে থাকবোনা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইসরাইলকে সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডে’র সঙ্গে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ও চারটি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা ইসরাইল উপকূলের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব আরও বলেন, অতিরিক্ত সরঞ্জাম ও গোলাবারুদের পাশাপাশি ইসরাইলে মার্কিন যুদ্ধবিমানও পাঠানো হবে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, বাইডেন সরকার আগামী দিনে দেশটিতে আরও সামরিক সহায়তা পাঠাবে। তাছাড়া ইসরাইলের শত্রুরা যাতে এ পরিস্থিতি থেকে সুবিধা নিতে না পারে তা নিশ্চিত করতেও কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে মার্কিন এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া বলেছে যে পেন্টাগন থেকে যুদ্ধজাহাজ এবং বিমানবাহী রণতরী ইসরায়েলের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর চলমান যুদ্ধে তৃতীয় পক্ষের প্রবেশের একটি “উচ্চ ঝুঁকি” রয়েছে।
“এই সংঘর্ষে তৃতীয় শক্তি জড়িত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস এ কথা জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, কোনো ধরনের আলোচনা প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপায় খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ যুদ্ধে ইরান কোন সহযোগিতা না করলেও ইসরাইলে হামলা করা তারা হামাসকে অভিনন্দ জানিয়েছে।
ইরাকের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, মিশিরের হুথি বিদ্রোহী ও লেবাননের ইসলামগী সংগঠনগুলো ফিলিস্তানকে সর্বোচ্চ অস্ত্র সহযোগিতা প্রদান করবে বলে তারা ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স