ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক ৮ সদস্যের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন কাতারের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ঘোষণা করা এ রায়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
ফাঁসির রায় হওয়া আট সাবেক ভারতীয় নৌসেনা হলেন ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বাশিস্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকার পাকালা, নাবিক রাগেশ ও কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা।এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মামলার রায়ে আমরা হতবাক। সাজাপ্রাপ্তদের পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক নৌসেনারা কাতারের ডাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানটি কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও স্বল্প পরিসরে কিছু সেবা দিতো।
একটি সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটি জানায়, ডাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেসের স্পর্শকাতর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাবেক ওই নৌসেনারা। ওই বিভাগে সাবমেরিন সম্পর্কিত কার্যক্রম চলতো। আর ওই কাজের ফাঁকেই ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সময় ধরা পড়েন তারা। তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা ভারতের একটি যুদ্ধজাহাজ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
২০২২ সালের আগস্টে কাতারের ইন্টালিজেন্স সার্ভিসেস তথা গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা কাতারের তথ্য ইসরায়েলে পাচার করছিলেন। গ্রেফতারের পর একাধিকবার তাদের জামিনের আবেদন করা হলেও, সেগুলো নাকচ করে দেয় কাতারি কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনের গাজা ইসরাই হামলার মধ্যেই ভারতীয় আট নৌসেনা মৃতদণ্ডের রায়ে নড়াচরে বসেছে পশ্চিমারা। পশ্চিমাদের ধারণা ভারত ইসরাইলের পক্ষ নেয়ায় কাতারের আদালত এ রাই দিয়েছে। তবে বিষয়টি নাকচ করেছে কাতারের আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইসরাইলের কাছে কাতারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ওই আট নৌ সেনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়া হয়।
বিষয়টি ভালো চোখে নেয়নি ভারতের বন্ধু পশ্চিমারা।