ঢাকা 1:53 am, Tuesday, 22 July 2025

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হচ্ছেন ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসী!

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:06:32 pm, Wednesday, 19 June 2024
  • 14 Time View

যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১০ বছর বসবাস এবং মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করার পরও এখনও মার্কিন নাগরিক হতে পারেননি, তাদেরকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে এখনও ২১ বছর হয়নি— এমন তরুণ-তরুণীদেরও আবেদনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

চলতি বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মার্কিন প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত ৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীকে (যাদের বয়স ২১ বছরের কম) নাগরিকত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আসন্ন নির্বাচনে নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে এগিয়ে থাকার কৌশল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। কারণ, জো বাইডেনের বর্তমান মেয়াদে নাগরিকত্ব প্রত্যাশী অভিবাসীরা কেবল আবেদন করতে পারবেন। তাদের সেই আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং নতুন প্রে

মার্কিন প্রেসিডেন্টের মঙ্গলবারের ভাষণেও তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত এবং অভিবাসীদের নিয়ে প্রায় নিয়মিত হিংসা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে অভ্যস্ত ট্রাম্পের উদ্দেশে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) প্রায়ই বলেন যে অভিবসীরা আমাদের দেশের রক্তে দূষণ ঘটাচ্ছে। এটা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন যে তার মতো একজন ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন— এমন কথা বলতে পারেন।’

‘তবে তিনি প্রকাশ্যে বেশ জোরেশোরেই (অভিবাসী ইস্যুতে) এমন কথাবার্তা বলেন এবং তার এসব কথা খুবই নিষ্ঠুর এবং আপত্তিকর। (যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো) সীমান্ত এবং অভিবাসীদের নিয়ে রাজনীতি করার আগ্রহ আমার নেই। আমি কেবল এই সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের পথ বের করতে চাই।’

জো বাইডেনের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের প্রতি তেমন সহানুভূতিশীল নন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তার জয়ের অন্যতম নিয়ামক ছিল যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত এবং অভিবাসী ইস্যুতে তার কঠোর মনোভাব। এমনকি ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও নিজের অবস্থান থেকে তেমনভাবে সরেননি ট্রাম্প।

অন্যদিকে জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অভিবাসীদের প্রতি তুলনামূলকভাবে বেশি সহানুভূতিশীল। চলতি জুন মাসের শুরুতে অবশ্য তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী অবস্থান নিয়েছেন, তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হবে না।

কিন্তু অভিবাসীদের পক্ষের আইনজীবীরা এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির কয়েকজন নেতা এ ইস্যুতে বাইডেনের ব্যাপক সমালোচনার পর মঙ্গলবারের এই ঘোষণা দিলেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হচ্ছেন ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসী!

Update Time : 06:06:32 pm, Wednesday, 19 June 2024

যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১০ বছর বসবাস এবং মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করার পরও এখনও মার্কিন নাগরিক হতে পারেননি, তাদেরকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে এখনও ২১ বছর হয়নি— এমন তরুণ-তরুণীদেরও আবেদনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

চলতি বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মার্কিন প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত ৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীকে (যাদের বয়স ২১ বছরের কম) নাগরিকত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আসন্ন নির্বাচনে নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে এগিয়ে থাকার কৌশল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। কারণ, জো বাইডেনের বর্তমান মেয়াদে নাগরিকত্ব প্রত্যাশী অভিবাসীরা কেবল আবেদন করতে পারবেন। তাদের সেই আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং নতুন প্রে

মার্কিন প্রেসিডেন্টের মঙ্গলবারের ভাষণেও তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত এবং অভিবাসীদের নিয়ে প্রায় নিয়মিত হিংসা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে অভ্যস্ত ট্রাম্পের উদ্দেশে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) প্রায়ই বলেন যে অভিবসীরা আমাদের দেশের রক্তে দূষণ ঘটাচ্ছে। এটা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন যে তার মতো একজন ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন— এমন কথা বলতে পারেন।’

‘তবে তিনি প্রকাশ্যে বেশ জোরেশোরেই (অভিবাসী ইস্যুতে) এমন কথাবার্তা বলেন এবং তার এসব কথা খুবই নিষ্ঠুর এবং আপত্তিকর। (যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো) সীমান্ত এবং অভিবাসীদের নিয়ে রাজনীতি করার আগ্রহ আমার নেই। আমি কেবল এই সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের পথ বের করতে চাই।’

জো বাইডেনের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের প্রতি তেমন সহানুভূতিশীল নন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তার জয়ের অন্যতম নিয়ামক ছিল যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত এবং অভিবাসী ইস্যুতে তার কঠোর মনোভাব। এমনকি ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও নিজের অবস্থান থেকে তেমনভাবে সরেননি ট্রাম্প।

অন্যদিকে জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অভিবাসীদের প্রতি তুলনামূলকভাবে বেশি সহানুভূতিশীল। চলতি জুন মাসের শুরুতে অবশ্য তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী অবস্থান নিয়েছেন, তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হবে না।

কিন্তু অভিবাসীদের পক্ষের আইনজীবীরা এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির কয়েকজন নেতা এ ইস্যুতে বাইডেনের ব্যাপক সমালোচনার পর মঙ্গলবারের এই ঘোষণা দিলেন তিনি।