অবশেষে নতুন প্রেমিক মেহেদী শুভকে বিয়ে করলেন দেশের আলোচিত নারী টিকটকার লায়লা আখতার, এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাদের বিয়ে সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে বধু বেশে দেখা গেছে লায়লাকে, বর বেশে মেহেদীকে। দুজনে হাসিমুখে কথা বলেছেন এবং বিয়ের বিষয়টিও জানিয়েছেন।
তবে বিষয়টি ভিন্ন। তারা বিয়ে করেননি। এটি ছিল একটি ব্রাইডাল ফটোশুট। যেখানে মেহেদী বর এবং লায়লা বধুবেশে ফটোশুট করেন।
মেহেদি শুভর বয়স ৩০ বছর অপর দিকে টিকটকার লায়লার বয়স চলে প্রায় ৫১ বছর। দুজনের মধ্যে বেশ সখ্যতার পরে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বলে জানাযায়।
মেহেদী শুভ একজন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি ‘মেহেদী শুভ ভাইয়া’ নামে পরিচিত এবং ব্লু ফেইরি লায়লার সাথে বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট ও ব্রাইডাল শুট-এ অংশগ্রহণ করেছেন। এটিও সেইরকমই একটি ফটোশুট।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একাধিক ভিডিওতে লায়লা এবং মেহেদী দুজনকেই বিয়ের সাজে কথা বলতে শোনা যায়।
তারা বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে। নতুন করে আর বলার কিছু নাই। এরপর একে অন্যকে খাইয়ে দিতেও দেখা গেছে তাদের। এই ভিডিওগুলোর কারণেই তাদের বিয়ের গুঞ্জন ভাইরাল হয়। আদতে দুজন বিয়ে করেননি।
তবে তারা একে অন্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েচেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এদিকে, বিগত কয়েক বছর ধরেই আলোচিত-সমালোচিত টিকটক কনটেন্ট নির্মাতা লায়লা আখতার ও প্রিন্স মামুনকে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। মামুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন লায়লা। তবে বিয়ের পর থেকে তাদের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় চরাই উৎরাই। কখনো লায়লা অভিযোগ তুলেছেন তো কখনো মামুন। তাদের সম্পর্ক ভাঙন নিয়ে একাধিক মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত এ দম্পতির বিরোধ আদালতের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে এনে ২০২৩ সালের ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন লায়লা। পরদিন কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনকে।
২০২৪ সালে লায়লা প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় আবারও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সম্প্রতি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে পুলিশ প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ডিজির অভিযোগে থেকে জানা যায়, গত বছরের ৪ জুন প্রিন্স মামুন লায়লার বাড়িধারা ডিওএইচএস’র বাসায় এসে তার বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। তাকে মারধরসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি। প্রাণনাশেরও ভয় দেখায়। পরে লায়লা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ভাটারা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। দুজনের আইনি লড়াই এখনো চলছে। এরই মাঝে নতুন জীবন শুরু করলেন লায়লা।