শওকত আলী:
চাঁদপুর পৌরসভা পরিদর্শন করলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন। ৫ আগস্ট চাঁদপুর পৌরসভায় হামলার পর দেশে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার গঠনকল্পে চাঁদপুর পৌরসভাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব অর্পন করার হয় বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে।
তারই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন বুধবার(১জানুয়ারী) সন্ধ্রায় পৌরসভা পরিদর্শনকালে বলেন,পৌর এলাকার সকল বিল্ডিং ও স্থাপনা হিসেবে সঠিক ভাবে এসেসমেন্ট করে ট্যাক্র নির্ধারন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনরুপ স্বজন প্রীতি করলে হবেনা। এ ট্যাক্রের বিষয়ে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন,সবাইর জন্য সমান হিসেবে ট্যাক্র ধার্য করে ট্যাক্র দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিজেদের আলোকিত আইন প্রয়োগ করলে চলবেনা। প্রত্যেক পৌর নাগরিককে সঠিক ভাবে ট্যা্েরক্রর আয়তায় এনে সবাইকে ট্যাক্র পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। সঠিক ভাবে ট্যাক্রের ব্যবস্থা করলে কোন অভিযোগ থাকবেনা। জেলা প্রশাসন আরো বলেন, পৌরসভার এসেসমেন্ট হবে বছরের মধ্যবর্তী সময়ে। সকল পৌর নাগরিককে সমান ভাবে এসেসমেন্টের আওতায় আনতে হবে। সকলের খাজনা ফিট হিসেবে মেপে নির্ধারন করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষ হিসেবে খাজনা নির্ধারন করা যাবেনা। এভাবে চলতে পারেনা। পৌর সভার কর্মীরা সবাই এক থাকতে হবে এবং এক হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন,বর্তমানে যে ভাবে চলছে তাতে বৈষম্য হচ্ছে। পৌর কর্মীদের এসেসমেন্ট নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক পরিদর্শনকালে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভুঁইয়ার কাছে জানতে চান পৌরসভার কি পরিমান বকেয়া আদায় রয়েছে এবং সুইপিংয়ের জন্য কত কর্মী রয়েছে।
এ সময় প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভুঁইয়া বলেন,এ পর্যন্ত পৌরসভার নাগরিকদের কাছে প্রায় ২ কোটি টাকার মত বকেয়া রয়েছে। আর পৌর এলাকার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে ২শ’৩০জন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন বলেন,এত সংখ্যাক কর্মী থাকার পরও এ শহরটি কেন এত নোংরা ও অপরিস্কার করে রাখা হ্েচছ।
তিনি বলেন আমার আগে মনে হয় আর কেহ বাসা থেকে বাহির হয় না। আমি ভোরে উঠে যখন ্অফিসে যাই তখন আমার চোঁখে কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী দেখতে পাইনা। তিনি বলেন,এত পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকার পর শহরের ড্রেনগুলো এত অপরিস্কার কেন? পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সঠিক ভাবে কাজ করলে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যান্ত খারাপ। দেখছি সামান্ন বৃস্টি হলে তলিয়ে যায় ড্রেন। তিনি বলেন পৌর এলাকার ড্রেন পরিস্কার ঠিকমত হচ্ছেনা। তারা ঠিক মত কাজ করছে না। পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকলে হবে না, কাজ করতে হবে। এ সময় পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ গোলাম জাকারিয়া, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভুঁইয়া,প্রকৌশলী মো: হাসান,হিসাব রক্ষক মুশিউর রহমান,ভারপ্রাপ্ত কর আদায়কারী মো: জহির,এসেসমেন্ট শাখার মো: শাহরিয়া,পানি শাখার বাতেন মিয়াজী-একাউন্টেন ও ক্যাশিয়ার মো: মানিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি পৌরসভার সন্মেলন কক্ষে পৌর সভার আয়বর্ধনকারী বিভিন্ন শাখার কমৃর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক পৌরসভার উন্নয়নে ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনিদেশনা মূলক পরামর্ম প্রদান করেন।