হাজীগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ, হামলা ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, ভুক্তভোগী ছোট তিন সহদোর ভাই। সোমবার (১৬ জুন) বিকালে হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের মুন্সী বাড়ির আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ছোট ভাই মো. ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা চার ভাই। এর মধ্যে মো. ইমাম হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন ও তোফাজ্জল হোসেনকে আমাদের পৈত্রিক, ক্রয়কৃত ও হেবাকৃত সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে বড় ভাই আনোয়ার হোসেন তার সন্তানদের নামে দান করে দেন। এতে আমরা আমরা তিন ভাই বঞ্চিত হই।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশি বৈঠক করেও কোন সুরাহা পাচ্ছিনা। উল্টো মামলা-হামলা করে আমাদের তিন ভাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি (আনোয়ার হোসেন) বাড়ির অন্যান্য পরিবারের সম্পত্তি দখল করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন।
তিনি বলেন, আমার ভাতিজা ইলিয়াস হোসেন সাদ্দাম সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তার প্রভাব খাটিয়ে আমার ভাই অপরাধমূলক কার্যক্রম করে আসছেন। তিনি এলাকায় সালিশি বৈঠক ও আইন-আদালত অমান্য করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। আমরা আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর প্রতিকার চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে ইমাম হোসেন বলেন, আমরা চার ভাই ৭ খতিয়ানে ৩ একর ২২ শতাংশ ভূমির মালিক। এর মধ্যে বড় ভাই আনোয়ার হোসেন হিস্যা অনুযায়ীর চেয়ে অতিরিক্ত ৮০ শতাংশ ভূমি দখল করে আছেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ওসমান গণি নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমি আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। কিন্তু আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলেরা আমাকে সেই জমিতে যেতে দিচ্ছে না। তারা আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
মানিক হোসেন নামের আরো একজন অভিযোগ করে বলেন, আমি নূর বানুর কাছ থেকে ১.৫০ শতাংশ জমি কিনে ভোগদখল করতে পারছি না। তারা (আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলেরা) সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।
তারা আরো বলেন, আনোয়ার হোসেন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সাধারণ মানুষ, এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যদেরও জিম্মি করে রেখেছেন। মামলা, হামলা ও ভয়ভীতি তার প্রধান অস্ত্র। তার ছেলে সাদ্দাম, আরাফাত, মেহেদী ও আরমানকেও এসব কর্মকান্ডে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, উপজেলায় কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ইসমাইল হোসেন, ওসমান গনি, মানিক হোসেন, তাজুল ইসলাম, শামসুন্নাহার, তাসলিমা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।