হাজীগঞ্জের ২ নং বাকিলা ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর হাজী বাড়িতে আবু মুছার কনিষ্ঠ সন্তান। নিজ বসত ঘরে লুকোচুরি খেলছে মামা আবু নাঈম (৭) ভাগিনা আয়ান(৪)। ভাগিনাকে ফাঁকি দিতে খাটের নীচে লুকায় মামা নাঈম। লুকানো অবস্থায় ছোট গর্তের মুখে হাত পড়ে নাঈমের।
হাতের তালুতে কিসে যেন কামড় দিছে এমনটা বুঝতে পেরে খাটের নীচ বেরিয়ে আসে সে। তখনই কামড়ের বিষয়টি মা ও বোনকে জানায় নাঈম। তার হাতের তালুতে ছোট একটি ছিদ্র ও তা থেকে হালকা রক্ত বের হচ্ছে দেখে তাৎক্ষনিক মা ও বোন নাঈমের হাতে রশি দিয়ে গিঠ দিয়ে পাশের এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়।
পরে তাঁকে নেয়া হয় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে। সেখান ভর্তির কয়েক ঘন্টার মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নাঈম। ঘটনাটি ঘটে শনিবার ২৩ (আগষ্ট ২০২৫) দিনগত রাতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন মেম্বার বলেন, রোববার (২৪ আগষ্ট) বাদ জোহর নাঈমের জানাজা শেষে তাঁর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
নাঈমের বাবা আবু মুছা জানান, ছেলে বেডে ভতর্তি দেবার পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ছেলে ছটফট শুরু করে। তখন হাসপাতাল থেকে আমাকে বলা হয় রোগী ঢাকাতে নিয়ে যেতে। এর কিছু পরেই হাসপাতাল বেডে আমার ছেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আমি সাথে থেকে নিশ্চিত বুঝলাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হেয়ালীপনার কারনে আমার ছেলেটা মারা গেছে।