চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দিনগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলমের নির্দেশে এসআই আরিফুর রহমান সরকার, মো. আমজাদ আলী চৌধুরী এবং এএসআই মো. জুমায়েত হোসেন জুয়েল পৌর এলাকার কেরোয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেন। মামুন উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা এলাকার সাত্তারের ছেলে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মামুন তার নিজ বাড়িতে এক কিশোরী আত্মীয়কে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং সেই মুহূর্তের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। ধর্ষণের পর ঘটনা গোপন রাখতে তিনি ওই কিশোরীকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধও খাইয়ে দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার পর মামুন কিশোরীকে হুমকি দেন-যদি সে পরিবারকে কিছু জানায়, তবে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। এ ভয়ে কিশোরীটি দীর্ঘদিন নীরব ছিল। তবে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সে তার মাকে সব খুলে বলে। সে আরও জানায়, ২ সেপ্টেম্বরও একইভাবে মামুন তাকে ধর্ষণ করেছিল।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ঘটনা জানার পর অভিযুক্তকে জিজ্ঞেস করলে সে উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে খুনজখমের হুমকি দেয়। এ ছাড়াও ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখায়। বর্তমানে আমরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।