ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর জেলায় টাইফয়েড টিকা প্রদানে টার্গেট ৮ লাখ শিশু

চাঁদপুরে ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়ন সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিমিত্তে মিডিয়াকর্মীদের অংশগ্রহনে জেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় এই টিকা প্রদানে টার্গেট শিশুর সংখ্যা ৮লাখ ৫হাজার ২শ’ ৪৫জন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টেবার) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস।

এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) ডালিয়া ইয়াসমিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন।

তিনি বক্তব্যে বলেন, এই টিকা সরকার বিদেশ থেকে কিনে এনেছে। এটি বিনামূল্যের নয়। যে কারণে এই টিকা খারাপ হওয়ার কথা নয়। গনমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না। আপনারা যদি গুজবের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান তাহলে শিশুরা এই টিকা নেয়ার আগ্রহ থাকবে। আশা করি সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুজব প্রতিরোধ ও টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব তুলে ধরে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা তথ্য অফিস এই বিষয়ে অংশীজনদের সাথে বৈঠক করেছে।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন এর সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ।

টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম এর টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমওসিএস) ডা. মো. সাখাওয়াত হোসেন।

মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন পরামর্শ ও টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমস্যার বিষয় তুলে ধরে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন।

সভায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে) ১৮ কর্ম দিবসে জেলায় টাইফয়েড টিকাদান প্রদানে ৮ লাখ ৫হাজার ২শ’ ৪৫জন শিশুকে টার্গেট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী হচ্ছে ৫ লাখ ৪১হাজার ৮শ’৪৪জন। ৯ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুর সংখ্যা ২লাখ ৬৩ হাজার ৪শ’ ১জন। ইতোমধ্যে ৪১ ভাগ শিশুর অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়াও টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩হাজার ৭শ’ ৫৮টি। কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ২হাজার ৪শ’ ২৪টি। টিকাদানকারী টিমের সংখ্যা ৩শ’ ১৩টি। সর্বমোট টিকা প্রদানকারী ৬শ’ ১৬জন এবং স্বেচ্ছাসেবী ৯শ’ ১৯জন। সর্বমোট প্রথম সারির তদারককারীর সংখ্যা ৩শ’ ৩জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়ায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

চাঁদপুর জেলায় টাইফয়েড টিকা প্রদানে টার্গেট ৮ লাখ শিশু

Update Time : ১০:৫০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

চাঁদপুরে ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়ন সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিমিত্তে মিডিয়াকর্মীদের অংশগ্রহনে জেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় এই টিকা প্রদানে টার্গেট শিশুর সংখ্যা ৮লাখ ৫হাজার ২শ’ ৪৫জন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টেবার) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস।

এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) ডালিয়া ইয়াসমিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন।

তিনি বক্তব্যে বলেন, এই টিকা সরকার বিদেশ থেকে কিনে এনেছে। এটি বিনামূল্যের নয়। যে কারণে এই টিকা খারাপ হওয়ার কথা নয়। গনমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না। আপনারা যদি গুজবের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান তাহলে শিশুরা এই টিকা নেয়ার আগ্রহ থাকবে। আশা করি সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুজব প্রতিরোধ ও টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব তুলে ধরে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা তথ্য অফিস এই বিষয়ে অংশীজনদের সাথে বৈঠক করেছে।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন এর সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ।

টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম এর টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমওসিএস) ডা. মো. সাখাওয়াত হোসেন।

মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন পরামর্শ ও টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমস্যার বিষয় তুলে ধরে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন।

সভায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে) ১৮ কর্ম দিবসে জেলায় টাইফয়েড টিকাদান প্রদানে ৮ লাখ ৫হাজার ২শ’ ৪৫জন শিশুকে টার্গেট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী হচ্ছে ৫ লাখ ৪১হাজার ৮শ’৪৪জন। ৯ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুর সংখ্যা ২লাখ ৬৩ হাজার ৪শ’ ১জন। ইতোমধ্যে ৪১ ভাগ শিশুর অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়াও টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩হাজার ৭শ’ ৫৮টি। কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ২হাজার ৪শ’ ২৪টি। টিকাদানকারী টিমের সংখ্যা ৩শ’ ১৩টি। সর্বমোট টিকা প্রদানকারী ৬শ’ ১৬জন এবং স্বেচ্ছাসেবী ৯শ’ ১৯জন। সর্বমোট প্রথম সারির তদারককারীর সংখ্যা ৩শ’ ৩জন।