কোরীয় উপদ্বীপের পূর্বদিকের সাগরে স্বল্পপাল্লার তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, আজ সকাল আটটার দিকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়া ড্রোন ওড়ানোর পাঁচ দিনের মাথায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা ঘটল।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেছে, পিয়ংইয়ংয়ের দক্ষিণের নর্থ হোয়ানঘায়ে প্রদেশ থেকে স্থানীয় সময় সকাল আটটার দিকে স্বল্পপাল্লার তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ আরও বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনাটি চরম উসকানিমূলক, যা কোরিয়া উপদ্বীপ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ন করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়েছে।
এর আগে জাপানের কোস্টগার্ড বলেছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়েছে।
ওয়াশিংটন বলছে, সবশেষ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা তাদের মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের যেকোনো বছরের চেয়ে উত্তর কোরিয়া চলতি বছর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সিউল ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন সরকার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সংকল্প করে।
২০২৩ সালের জন্য উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ কিম উনের
আরও পড়ুন
২০২৩ সালের জন্য উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ কিম উনের
কিম জং–উন
চলতি সপ্তাহে দুই দেশের সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার ওড়ানো পাঁচটি ড্রোন ভূপাতিত করতে না পারায় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী ক্ষমা চেয়েছে। ড্রোনগুলোর একটি সিউলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী সতর্কতামূলক গুলি ছুড়েছে। ড্রোনগুলো ভূপাতিত করতে যুদ্ধবিমান ও আক্রমণকারী হেলিকপ্টার উড়িয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির এশীয় মিত্ররা উত্তর কোরিয়ার তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।