অমর একুশে ফেরুয়ারি ও আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ চত্বরে প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদ গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা।
কলেজের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেরুয়ারি তাৎপর্য তুলে ধরে অধ্যক্ষ মো: মাসুদ আহাম্মদ বলেন, দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পূর্ব বাংলার মানুষ যে তথাকথিত স্বাধীনতা লাভ করে তার উপর প্রথম আঘাত আনা হয় সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষা করার সিদ্ধান্ত ঘোষনার মাধ্যমে। তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ জনগণ পাকিস্তানীদের এই দুরবসন্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে নস্যাৎ না করতে পারলে বাংলা ভাষাও টিকে থাকতো না বাংলাদেশও স্বাধীন হতো না।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ার উল্যা, গভর্নিংবডির সদস্য অধ্যাপক (অব:) স্বপন কুমার পাল, আবুল হাসেম হাসু, মো. শাসছুজ্জামান মুন্সী, সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম, সহকারী অধ্যাপক মাকছুদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো: মাসুদুর রহমান। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রাকিব। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ.ন.ম মফিজুর রহমান।
ভাষা আন্দোলনের সকল শহিদ, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, পঁচাত্তরে ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ কাল রাত্রির শাহাদাত বরণকারী সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি এবং হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মাননীয় সংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।