পুতিনের তুরুপের তাস শক্তিশালি ক্ষেপনাস্ত্র ‘সারামাত’। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব নেতারা। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একই সাথে ১০ বা তার বেশি ওয়ারহেড যোগ করা যায়। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই পরীক্ষা চালানো রাশিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘সারমাত’ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
ইতোমধ্যে এর সফল উৎক্ষেপণ করেছে রাশিয়া। দেশটির দাবি— এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম শুনলেই পিলে চমকে উঠবে সবার। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই সাম্প্রতিক সংবাদে জানিয়েছেন। পুতিনের দাবি, পৃথিবীর যে কোনো লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র।
কেন একে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বলা হচ্ছে? অনেক কারণের মধ্যে একটি হলো— এটি একসঙ্গে একাধিক পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। পরমাণু অস্ত্র বহন করে বিশ্বের যে কোনো লক্ষ্যে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে সারমাত।
দ্বিতীয়ত, এই ক্ষেপণাস্ত্রে ১০ বা তার বেশি ওয়ারহেড যোগ করা যায়। অর্থাৎ তা একাধিক যুদ্ধাস্ত্র নির্ভুলভাবে ছুড়তে পারে। যার ফলে সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে সারমাতের ধ্বংসের ক্ষমতা অনেক বেশি।
এমনই প্রযুক্তিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়েছে যে, একে ধরতে পারবে না শত্রুপক্ষের কোনো রাডার। ফলে শত্রুপক্ষের অজান্তেই এ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে বলে দাবি রুশ সংবাদমাধ্যমের। রুশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ে প্রায় ২২ বছর ধরে গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণা করে এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী।
বলা হচ্ছে, সারমাতের তিনটি স্তর। ১৮ হাজার কিলোমিটার পাতার এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে তরল দাহ্যপদার্থ ব্যবহার করা হয়। সারমাত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য ৩৫.৫ মিটার, যার ব্যাস তিন মিটার।
সফল উৎক্ষেপণের পর পুতিন বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রেমলিনের দুবার ভাবতে বাধ্য করবে। কারণ পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের যে কোনো বিন্দু এখন এর পাল্লার মধ্যে এসেছে। সম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকের ধারণা, এর ফলে এই যুদ্ধ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিতে পারে।
সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স, এপি