ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া ॥
কচুয়া আসনে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন। ৩০ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। ১লা ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম ছিলো। সোমবার সকালে চাঁদপুর জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে কচুয়া আসনের নৌকার প্রার্থীসহ ৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে উল্লেখিত তথ্যের গরমিল, ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন না থাকাসহ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ত্রুটি থাকার কারনে ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া হেভিওয়েট আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যৌথ মনোনয়ন প্রাপ্ত মো. গোলাম হোসেন, রাহাদ চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মোঃ শওকত হোসেন মিয়া (স্বতন্ত্র), মো. জামাল হোসেন (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. সেলিম প্রধান (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ)।
মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও ড. সেলিম মাহমুদ সহ ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ গোলাম হোসেন বলেন, আমি মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করবো। যা আমি পূর্বেই আশঙ্কা করেছিলাম এই ধরনের একটি ঘটনা আজকে ঘটবে। স্বাক্ষর প্রক্রিয়ার শুরুতে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ঠ সবাইকে আমি লিখিত ভাবে জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, এ আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে ও শেষ পর্যন্ত জমা দিয়েছে ৯ জন। তিনজন ছাড়া বাকিদের চেনেন না ভোটাররা। হঠাৎ করে কেন তারা এমপি হওয়ার আগ্রহী হলেন তার সদুত্তর মেলেনি তাদের কাছ থেকে। উপজেলা রিটানিং কর্মকতা কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, বিদ্রোহী প্রার্থী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএসএম শহিদুল ইসলাম এর পূর্ব পরিচয় রয়েছে। বাকি প্রার্থীদের কেউ চেনেন না।