ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে অবৈধ মাছ নিধনে মোবাইল কোর্টের অভিযান: জব্দ ৫০টি চায়না জাল

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ৭৮ Time View

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে কোদালিয়া বিল ও বড়কুল পূর্ব মাঠ এলাকায় অবৈধভাবে মাছ নিধনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকালে পরিচালিত এই অভিযানে মৎস্য সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এবং মৎস্য বিধিমালা, ১৯৮৫ এর আওতায় ৫০টি চায়না রিং জাল, ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, এবং ২টি ভেশাল জাল জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত অবৈধ জাল ঘটনাস্থলেই ধ্বংস করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. শাহীন হোসেন।

অভিযান শেষে এস. এম. শাহীন হোসেন বলেন, “নদী ও জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা শুধু আইনত দণ্ডনীয় নয়, এটি পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”

তিনি আরও বলেন, “চাষযোগ্য মাছের উৎপাদন বজায় রাখতে এবং মা ও পোনা মাছ রক্ষায় নিয়মিত নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ চলমান থাকবে।”

মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, নদী, খাল ও বিল থেকে অবৈধ জাল অপসারণ করলে স্থানীয় জেলেরা উপকৃত হবেন এবং জলজ সম্পদের পরিমাণও বাড়বে। জনগণের সহযোগিতায় এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নওরীন, দীনা মোস্তাফিজুর রহমান, এসআই নাজমুন, এবং কনস্টেবল আলাউদ্দিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

হাজীগঞ্জে অবৈধ মাছ নিধনে মোবাইল কোর্টের অভিযান: জব্দ ৫০টি চায়না জাল

Update Time : ১২:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে কোদালিয়া বিল ও বড়কুল পূর্ব মাঠ এলাকায় অবৈধভাবে মাছ নিধনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকালে পরিচালিত এই অভিযানে মৎস্য সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এবং মৎস্য বিধিমালা, ১৯৮৫ এর আওতায় ৫০টি চায়না রিং জাল, ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, এবং ২টি ভেশাল জাল জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত অবৈধ জাল ঘটনাস্থলেই ধ্বংস করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. শাহীন হোসেন।

অভিযান শেষে এস. এম. শাহীন হোসেন বলেন, “নদী ও জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা শুধু আইনত দণ্ডনীয় নয়, এটি পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”

তিনি আরও বলেন, “চাষযোগ্য মাছের উৎপাদন বজায় রাখতে এবং মা ও পোনা মাছ রক্ষায় নিয়মিত নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ চলমান থাকবে।”

মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, নদী, খাল ও বিল থেকে অবৈধ জাল অপসারণ করলে স্থানীয় জেলেরা উপকৃত হবেন এবং জলজ সম্পদের পরিমাণও বাড়বে। জনগণের সহযোগিতায় এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নওরীন, দীনা মোস্তাফিজুর রহমান, এসআই নাজমুন, এবং কনস্টেবল আলাউদ্দিন।