আযান বিদেশের মাটিতে গত ডিসেম্বর-২০২৪ এ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান স্কুলস চেস চ্যাম্পিয়নশিপস-২০২৪ অংশগ্রহণ করে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হোন। মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত ওয়েস্টার্ন এশিয়ান ইয়ুথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ (অনূর্ধ্ব-৮, ওপেন ক্যাটাগরি) অংশ নিয়ে পঞ্চম স্থান অর্জন করে আযান। (জুলাই, ২০২৪) শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ৭ম ওয়েস্টার্ন এশিয়ান ইয়ুথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ (অনূর্ধ্ব-১০, ওপেন ক্যাটাগরি) অংশ নিয়ে সেরা পাঁচে নিজের নাম লেখান ।
মতলবের এই ক্ষুদে দাবারু আযান ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫’ (অনূর্ধ্ব-১২, ওপেন) বিভাগে চ্যাম্পিয়ন, ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল ট্যালেন্ট হান্ট (অনূর্ধ্ব-১৬) চেস টুর্নামেন্ট-২০২৪’ এ চ্যাম্পিয়ন, চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত শেখ কামাল যুব গেমস ২০২৩-এ চেস ইভেন্টেও চাঁদপুর সদরের হয়ে অংশ নিয়ে জেলায় চ্যাম্পিয়ন, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সিসিপিএ ফিদে ইয়ুথ রেটিং চেস টুর্নামেন্ট ২০২৩ (অনূর্ধ্ব-১৭) চ্যাম্পিয়ন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু এশিয়ান জোন-৩.২ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ ওপেন বিভাগে অংশ নিয়ে আযান ব্যাপক নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে সক্ষম হলে চারদিকে হইচই পড়ে যায় । ২০ জুলাই আন্তর্জাতিক দাবা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে সেইলর প্রেজেন্টস চেকমেট-২০২৫ টুর্নামেন্টে সাফায়াত কিবরিয়া আযান (অনূর্ধ্ব-১৪) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সাউথ পয়েন্ট স্কুল চেস টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হয় সে।
খোঁজখবর মতে, মতলব উত্তর উপজেলার ক্ষুদে এই দাবারু সাফায়াত কিবরিয়া আযান গত জুনে অনুষ্ঠিত সারা দেশব্যাপী জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০২৫ জাতীয় পর্বে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ টিম চ্যাম্পিয়ন হয়। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে এ মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়ার্ল্ড স্কুলস চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫ খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ চেস ফেডারেশনের জটিলতায় ওই টুর্নামেন্টে এই ক্ষুদে দাবাড়ুর অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
কথাহলে ক্ষুদে দাবারু আযান এর বাবা গোলাম কিবরিয়া নয়ন জানান, দবার প্রতি আমার ছেলে আযানের অসম্ভব ঝোক। বর্তমানে আযানের রেটিং ১৮৬৪। আশা রাখি আমার সন্তান একদিন ইনশাআল্লাহ গ্র্যান্ডমাস্টার হবে। যদিও এসব টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। প্রতিটি বিদেশের মাটিতে যেতেই এয়ার টিকেট, রেজিস্ট্রেশন ফি ও এন্ট্রি ফি লাগবেই। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন এসবের দিকে তেমন কোনো নজরই দেয় না। আমরা যারা বাচ্চাদের দিয়ে বিদেশের মাটিতে দেশের পতাকা উড়াতে চাই তাদের প্রত্যেকেরই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্রীড়া প্রেমী বিত্তবানরা এসব প্রতিভাবান দাবারুদের পাশে দাঁড়ালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই খুদে দাবারুরা ভালো কিছু করে দেখাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।