শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সামজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় কমিউনিটি সারাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে সামাজিক কাজ করা হচ্ছে। সারাদেশে ৯ হাজার কমিটি রয়েছে, এর সাথে প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং এর আয়োজনে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, জনসংখ্যার চেয়ে কম সদস্য নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ । সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলায়ও কমিউনিটি পুলিশ `শান্তি-শৃঙ্খলা সর্বত্র এ মূল-মন্ত্রে কাজ করছে। সামাজিক যে সব অপরাধ কিশোর গ্যাং, মাদকসহ অপরাধ রয়েছে তা নিরসনে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে। তাতে করে সমাজের অন্যায় অপরাধ কমে আসছে। আইনি সহায়তা পেতে কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত সুরাহ পেতে কমিউনিটি পুলিশ সহায়তা করে।
আলোচনা সভার পূর্বে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণের পূর্বে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার ও কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)। ডাঃ পিযুষ কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমদে, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড: জিল্লুর রহমান জুয়েল। স্বাগত বক্তব্য কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সভাপতি ডা: এস এম সহিদুল্যা, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ডা: সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী,ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমিউনিটি পুলিশ সমন্বয় কমিটি সভাপতি সেলিম খান, চাঁদপুর সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি সালাহ উদ্দীন জিন্না,পৌর কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি রোটা: শেখ মনির হোসেন বাবুল।
সভায় বক্তারা বলেন, চাঁদপুর জেলায় কমিউনিটি পুলিশের ২২ হাজার সদস্য বর্তমানে রয়েছে। প্রথমে টহল সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। তৎকালীন পুলিশ সুপার শহিদুল হক কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চাঁদপুরে তরাম্বিত করতে সদস্য বৃদ্ধি করা হয়। এখানে যারা সম্পৃক্ত রয়েছে তারা কিছু পাবার জন্য আসেনি। তারা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কাজ করছে।বক্তারা আরো বলেন, জনকল্যানে আমরা কাজ করছি। সারাদেশের কোথাও আছে কিনা আমরা জানিনা চাঁদপুর পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বাঁশি লাঠি আর একটি নিদিষ্ট পোষাক পরে রাতে টহল দিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখছে কমিউনিটি পুলিশ। তাইতো আমরা বলি দিনের চাঁদপুরের চেয়ে রাতের চাঁদপুর অনেক নিরাপদ। চাঁদপুরের ১৫ টি অঞ্চলে ১২০ জন টহল সদস্য জনগনের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট থেকে চাঁদপুরে কমিউনিটি পুলিশ কার্যক্রম শুরু হয়।পুরো জেলায় পুলিশ সদস্য রয়েছে মাত্র ১ হাজার ২ শ ৯৩ জন, আর পুরো জেলায় কমিউনিটি পুলিশ সদস্য রয়েছে ২২ হাজার। আমাদের চেয়ে আর কে শক্তিশালী। আমরা সবাই যদি এক থাকি তাহলে কোনো গ্যাং অন্যায় অপরাধ করতে পারবে না। আমরা দেখে থাকি রাত ১১ টায় চাঁদপুর শহর নিরব হয়ে যায়। দূর দূরান্তের লঞ্চ যাত্রীরা এসে বিপাকে পরতে হয়। কিন্তু কমিউনিটি পুলিশিং আধুনিক পুলিশ কার্যক্রম। চাঁদপুর পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের ডাটা বেইচ তৈরি করলে আমরা বুঝতে পারবো কারা ভাড়াটিয়ানআর কারা বাড়ির মালিক। পাশাপাশি প্রতিটি বাসার মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সন্তানদের ডাটা বেইচ করা হলে কারা কিশোর গ্যাং এর সাথে যুক্ত তাদের চিন্হিত করতে পারবো। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয। বঙ্গবন্ধু একটা স্বাধীন জতীর উম্মেস ঘটিয়েছেন। একদিন এ দেশে কোনো আইন শৃঙ্খলা ছিলনা।সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু সব করেছেন। শেখ হাসিনা রাস্ট্র ক্ষমতায় এসে এ দেশ কে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। উন্নত সমৃদ্ধ দেশের জন্য শেখ হাসিনা করে যাচ্ছে।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন অঞ্চল ৬ সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান গাজী, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন অঞ্চল ৮ সহ সভাপতি বিমল চৌধুরী।