ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ৬৮ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বটগাছ প্রতীকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো: জয়নাল আবেদিন বকুল পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭৮ ভোট।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
উপনির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তা মো: হুমায়ন কবির নির্বাচনের পর বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। উপনির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ কম হলেও নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৫ জন ভোটারের মধ্যে ৮৩ হাজার ৬৯০টি ভোট কাস্ট হয়েছে। ভোট কাস্টিংয়ের শতকরা হার ২৬ দশমিক ২৭ ভাগ।
বিজয়ী লাবু চৌধুরী মরহুম সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে। গত ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনের এর এই সংসদীয় আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭২ জন। ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের ৮০৬টি ভোটকক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। এক হাজার ৫২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকায় বসে এ উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের ১০টি টিম, ৬ প্লাটুন বিজিবি, তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহস্রারাধিক পুলিশ ছাড়াও বেশকিছু স্ট্রাইকিং ফোর্স, আনসার এবং মোবাইল ভিজিলেন্স টিম মাঠে ছিল।
একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও শেষ পর্যন্ত দুটি দলের মাত্র দুজন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে তেমন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। ভোটকেন্দ্রগুলো ছিলো নিরুত্তাপ।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।