মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
জাতীয় শিক্ষা পদক-২০২৩ উপলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন মো. রাশেদুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাচন করেছেন জেলা যাচাই বাছাই কমিটি।
জানা গছে, হাজীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিদ্যালয়ের খোলামেলা পরিবেশ উন্মুক্তকরণ, বৃক্ষরোপন, শিশুদের খেলার উপকরণ প্রদান, আইসিটি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, ঝরেপড়া রোধে মনিটরিং (তদারকি), শিশু শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের লক্ষে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টসহ নিয়মিত খেলাধূলার ব্যবস্থা ও স্কাউটিংসহ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, কোমলমতী শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করতে পেরে পুরস্কৃত হয়েছি, এটা সত্যিই আনন্দের। তবে এ পুরস্কার আমার নয়, হাজীগঞ্জবাসীর। আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে ও থাকবে। কারণ, পুরস্কৃত হওয়ার পর এখন আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো।
এছাড়াও জাতীয় শিক্ষা পদক-২০২৩ উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা মানোন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন, হাজীগঞ্জের মো. আবু সাঈদ চৌধুরী, শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর (ইউআরসি) রাশেদা আতিক রোজী, শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাবুল ইসলাম।
এছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন হাজীগঞ্জের কাপাইকাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তুহিন হায়দার, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা সেন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আছিয়া খাতুন ও শ্রেষ্ট সহকারী শিক্ষিকা খাটরা রেফায়ী মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেসমিন আক্তার।
উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষা পদক-২০২৩ উপলে জেলার ১৮টি পুরস্কারের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের ১২টি পুরস্কার প্রদান করে যাচাই বাছাই কমিটি। এই ১২টি পুরস্কারের মধ্যে ৭টি পুরস্কার পেল হাজীগঞ্জ উপজেলা। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি হলেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন।