অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে ৪ দিনব্যাপী (২১-২৪ ফেব্রুয়ারী) একুশে বই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বই পড়ার প্রতি মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগানোর লক্ষ্যে হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে ‘৮ম’ বই মেলার উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার (২১) সন্ধ্যায় মেলার স্টলস্থলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের মহাপরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইইবি) ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য, হাজীগঞ্জের কৃতি সন্তান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন।
হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি গাজী সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ট্রাস্ট ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরাইয়া তালুকদার, চাঁদপুর কন্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, হাজীগঞ্জ পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহআলম প্রমুখ।
মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও এসএম মিরাজ মুন্সীর যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হোসাইন মীর, হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের পক্ষে উপদেষ্টা সদস্য যুগল কৃষ্ণ হালদার প্রমুখ।
এসময় গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী অলি উল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা নেছার পাটওয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, শাহজালাল, মামুন, মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান বাবলু, সদস্য নিহার রঞ্জন হাওলাদার, সানাউল্ল্যাহ পাটোয়ারী, হাবিবুর রহমান পলাশ, খালেকুজ্জামান শামীম, খাজা সাফিউল বাসার রুজমন, মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ, নন্দিতা দাস ও ইব্রাহীম খান রনিসহ অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ এ মেলার আয়োজন করে থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত ৮ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মেলা উদযাপন করে আসছে। এ বছর মেলা উদযাপনে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ও ৯টি উপ-কমিটির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।
হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অনুষ্ঠিত মেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বই প্রদর্শনী, বিক্রি, বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বই পরিচিত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিসহ চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামি ২৪ ফেব্রুয়ারী পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে চার দিনব্যাপী এ মেলার সমাপ্তি হবে।