ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • ৪৬ Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এর প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের পাশাপাশি হাজীগঞ্জে দিনভর ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত সমানতালে চলছে। তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমেল স্থল নিম্নচাপ হয়ে যাওয়ার কারণে এটি সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। যার প্রভাবেই সারাদেশে কম বেশি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে হচ্ছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব অনেক বেশি।

এ দিকে, টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে এ দিন ভোগান্তিতে পড়েন খেটে খাওয়া ও অফিসগামী সাধারণ মানুষ এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। একদিকে বৃষ্টি ও বাতাস, অন্যদিকে যানবাহন সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। যার ফলে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরাও পড়েন ভোগান্তিতে। ভিজে ভিজে স্কুলে যেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

এ দিন হাজীগঞ্জ বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ক্রেতা ও পথচারীদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা কয়েকজন। এতে সন্ধ্যার সময় পুরো বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। অর্থ্যাৎ অধিকাংশ দোকান-পাঠ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলে। মুদি মালামাল ও চা দোকান ছাড়া অন্য সবকিছুর দোকান ছিল বন্ধ।

এ বৃষ্টির মাঝে দিনের বেলায় কিছু লোকজনকে চলাফেরা করতে দেখা গেলে সন্ধ্যার পরে রাস্তাঘাটে ছিল একেবারে ফাঁকা। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হয়নি। অর্থ্যাৎ সন্ধ্যার পর গ্রামাঞ্চলে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। পরিদর্শনকালীন সময়ে ইউএনও’র সাথে ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌ. মো. জাকির হোসেনসহ পরিদর্শন এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা।

হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিলো নগন্য।

হাজীগঞ্জ বাজারস্থ মুক্তা এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধীকারী মো. খোরশেদ আলম মিয়াজী বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিলো। কিন্তু সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে বাজারে মানুষ আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, দমকা হাওয়ার সাথে দিনভর বৃষ্টিপাত ছিলো। তবে ক্ষয়-ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

বিজয় দিবসের দিনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন চাঁদপুর-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

হাজীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া

Update Time : ০৯:১৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এর প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের পাশাপাশি হাজীগঞ্জে দিনভর ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত সমানতালে চলছে। তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমেল স্থল নিম্নচাপ হয়ে যাওয়ার কারণে এটি সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। যার প্রভাবেই সারাদেশে কম বেশি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে হচ্ছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব অনেক বেশি।

এ দিকে, টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে এ দিন ভোগান্তিতে পড়েন খেটে খাওয়া ও অফিসগামী সাধারণ মানুষ এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। একদিকে বৃষ্টি ও বাতাস, অন্যদিকে যানবাহন সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। যার ফলে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরাও পড়েন ভোগান্তিতে। ভিজে ভিজে স্কুলে যেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

এ দিন হাজীগঞ্জ বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ক্রেতা ও পথচারীদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা কয়েকজন। এতে সন্ধ্যার সময় পুরো বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। অর্থ্যাৎ অধিকাংশ দোকান-পাঠ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলে। মুদি মালামাল ও চা দোকান ছাড়া অন্য সবকিছুর দোকান ছিল বন্ধ।

এ বৃষ্টির মাঝে দিনের বেলায় কিছু লোকজনকে চলাফেরা করতে দেখা গেলে সন্ধ্যার পরে রাস্তাঘাটে ছিল একেবারে ফাঁকা। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হয়নি। অর্থ্যাৎ সন্ধ্যার পর গ্রামাঞ্চলে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। পরিদর্শনকালীন সময়ে ইউএনও’র সাথে ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌ. মো. জাকির হোসেনসহ পরিদর্শন এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা।

হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিলো নগন্য।

হাজীগঞ্জ বাজারস্থ মুক্তা এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধীকারী মো. খোরশেদ আলম মিয়াজী বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিলো। কিন্তু সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে বাজারে মানুষ আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, দমকা হাওয়ার সাথে দিনভর বৃষ্টিপাত ছিলো। তবে ক্ষয়-ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।