ঢাকা 8:28 pm, Friday, 18 July 2025

ডাকাতি নয়, পরিকল্পিত হত্যা দাবী স্বজনদের, জাহাজ নিয়ে মালিকানার কোন দ্বন্দ্ব আছে কিনা তদন্ত করছে পুলিশ

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:15:16 pm, Tuesday, 24 December 2024
  • 8 Time View
চাঁদপুরের হাইমচর নীলকমল ইউনিয়নে মেঘনা নদীর মাঝেরচর এলাকায় সারবাহী জাহাজ এমভি আল-বাকেরাহ মাষ্টার ও চুকানিসহ ৭জন খুনের ঘটনাটি কেউ কেউ ডাকাতি বললেও স্বজনদের দাবী এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। হত্যাকান্ডের প্রতিটি দৃশ্য দেখেই এমন মন্তব্য করছেন তারা। পুলিশও এই ঘটনাকে সন্দেহের মধ্যে রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। জাহাজ নিয়ে মালিকানার কোন দ্বন্দ্ব আছে কিনা খতিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা মরদেহ শনাক্তের জন্য আসা স্বজনদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।

এর আগে সোমবার  বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে জাহাজের নিহতদের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাইমচর থানায় মামলা হয়নি।

ময়নাতদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খুনের শিকার ৭জন হলেন জাহাজের মাষ্টার ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার জোয়াইর গ্রামের গোলাম কিবরিয়া, জাহাজের লস্কর মাস্টারের আপন ভাগিনা শেখ সবুজ, সুকানি নড়াইলের আমিনুল মুন্সী ও  ইঞ্জিন চালক মো. সালাউদ্দিন, মাগুরা জেলার মো. মাজেদুল ও সজিবুল ইসলাম, বাবুর্চি মুন্সিগঞ্জ জেলার কাজী রানা।
এই হত্যাকান্ডের একই ধরণের দাবী জানালেন জাহাজের মাষ্টার গোলাম কিবরিয়ার ভাই আউয়াল হোসেন। তিনি বলেন, এই মাসেই আমার ভাইয়ের চাকরির মেয়াদ শেষ হত। তিনি ১ জানুয়ারি থেকে অবসরে যেতেন। উনার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু এই ঘটনার পরে সব পকিল্পনাই শেষ।

হত্যার শিকার আমিনুল মুন্সীর বড় ভাই মো. হুমায়ুন, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিনের মামাত ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ঘটনাটি আমরা ডাকাতি শুনলেও খুনের ঘটনার দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত হত্যা।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সুমন বলেন, ঘটনার পর ৭জনেরই ময়না তদন্তের কাজ চলছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর এবং একই সাথে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, নিহত ৭ পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার  ও নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে চাঁদপুরে জাহাজে নির্মমভাবে ৭জনকে খুনের ঘটনায় শিল্পমন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আগামী ৫ কর্ম দিবস মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হচ্ছে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’র গ্রাফিতি

ডাকাতি নয়, পরিকল্পিত হত্যা দাবী স্বজনদের, জাহাজ নিয়ে মালিকানার কোন দ্বন্দ্ব আছে কিনা তদন্ত করছে পুলিশ

Update Time : 07:15:16 pm, Tuesday, 24 December 2024
চাঁদপুরের হাইমচর নীলকমল ইউনিয়নে মেঘনা নদীর মাঝেরচর এলাকায় সারবাহী জাহাজ এমভি আল-বাকেরাহ মাষ্টার ও চুকানিসহ ৭জন খুনের ঘটনাটি কেউ কেউ ডাকাতি বললেও স্বজনদের দাবী এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। হত্যাকান্ডের প্রতিটি দৃশ্য দেখেই এমন মন্তব্য করছেন তারা। পুলিশও এই ঘটনাকে সন্দেহের মধ্যে রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। জাহাজ নিয়ে মালিকানার কোন দ্বন্দ্ব আছে কিনা খতিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা মরদেহ শনাক্তের জন্য আসা স্বজনদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।

এর আগে সোমবার  বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে জাহাজের নিহতদের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাইমচর থানায় মামলা হয়নি।

ময়নাতদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খুনের শিকার ৭জন হলেন জাহাজের মাষ্টার ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার জোয়াইর গ্রামের গোলাম কিবরিয়া, জাহাজের লস্কর মাস্টারের আপন ভাগিনা শেখ সবুজ, সুকানি নড়াইলের আমিনুল মুন্সী ও  ইঞ্জিন চালক মো. সালাউদ্দিন, মাগুরা জেলার মো. মাজেদুল ও সজিবুল ইসলাম, বাবুর্চি মুন্সিগঞ্জ জেলার কাজী রানা।
এই হত্যাকান্ডের একই ধরণের দাবী জানালেন জাহাজের মাষ্টার গোলাম কিবরিয়ার ভাই আউয়াল হোসেন। তিনি বলেন, এই মাসেই আমার ভাইয়ের চাকরির মেয়াদ শেষ হত। তিনি ১ জানুয়ারি থেকে অবসরে যেতেন। উনার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু এই ঘটনার পরে সব পকিল্পনাই শেষ।

হত্যার শিকার আমিনুল মুন্সীর বড় ভাই মো. হুমায়ুন, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিনের মামাত ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ঘটনাটি আমরা ডাকাতি শুনলেও খুনের ঘটনার দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত হত্যা।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সুমন বলেন, ঘটনার পর ৭জনেরই ময়না তদন্তের কাজ চলছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর এবং একই সাথে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, নিহত ৭ পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার  ও নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে চাঁদপুরে জাহাজে নির্মমভাবে ৭জনকে খুনের ঘটনায় শিল্পমন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আগামী ৫ কর্ম দিবস মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিবে।