হাজীগঞ্জে সরকারি সম্পত্তি দখল করে দোকানঘর ও দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত টোরাগড়-বড়কুল সেতু লাগোয়া নদীর উত্তর পাড়ে সেতুটির পূর্বপাশ কয়েকটি দোকানঘর নির্মাণ ও দেয়াল তুলে চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন স্থানীয় মেন্দু মিয়া ও আকবর মিয়ার পরিবারের লোকজন। তবে তাদের দাবি এটি সরকারি জায়গা নয়, তাদের নিজস্ব জমি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকাতিয়া নদীর উপর টোরাগড়-বড়কুল সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। আর উদ্বোধনের পূর্বেই সেতুর উত্তর পাড়ে অর্থ্যাৎ ডাকাতিয়া নদীর উত্তর পাড়ে টোরাগড় গ্রামের অংশে সেতুর পূর্বপাড়ে কয়েকটি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন, স্থানীয় মেন্দু মিয়া ও আকবর মিয়ার পরিবারের লোকজন।
এছাড়াও তারা দেয়াল নির্মাণ করায় জনসাধারণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বিষয়টি তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সেতু লাগোয়া দোকানঘর নির্মাণ করায় ভবিষ্যতে ব্রিজের (সেতু) ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং সরকারি জায়গা বেদখলে যাবে। এছাড়াও তাদের দখলের কারণে অন্য ব্যক্তিরাও সরকারি সম্পত্তি দখলে উৎসাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, দেয়াল নির্মাণ করার কারণে ইতিমধ্যে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিবাদ দেখা দিয়েছে। এতে করে যে কোনো মুহূর্তে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই, সরকারি সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতনমহল।
এ বিষয়ে কথা হয় মেন্দু মিয়া ও আকবর মিয়ার পরিবারের সাথে সংবাদকর্মীদের কথা হলে মেন্দু মিয়ার ছেলে লিটন সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে নয়, আমরা আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে দোকানঘর তুলেছি। তবে সরকারি সম্পত্তিতে দোকানের ছাউনির (চালা) কিছুটা গিয়েছে। সরকার যদি চায়, তাহলে আমরা দোকানের ছাউনি কেটে দিবো।
এসময় তিনি বলেন, সরকারি লোক এসে দেখে গেছেন। আমরা সরকারি সম্পত্তি দখল করি নাই। তবে আমরা চাই সরকার যতটুকু সম্পত্তি একোয়ার (ক্রয়) করেছে, ততটুকু চিহিৃত করে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। তাহলে আমরাও হয়রানি থেকে মুক্তি পাবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক হাত হোক, আর দুই হাত। অন্যের সম্পত্তি নয়, আমরা আমাদের সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মাণ করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বলেন, স্থানীয় ও এলাকার কয়েকজন লোক আমার কাছে এসেছেন। তাদের অভিযোগের বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, সরকারি সম্পত্তি কেউ দখল করে থাকলে, তদন্তপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে দখলমুক্ত করা হবে।