ঢাকা 10:14 pm, Friday, 18 July 2025

শাহরাস্তিতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:15:10 pm, Wednesday, 2 August 2023
  • 8 Time View

ছবি-ত্রিনদী

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় পারিবারিক কলোহের ঘটনায় বাবা ছেরাগ আলী (৭৫) কে ধারালো দা দিয়ে মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে ইমরান হোসেন আকবর (৪০) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২ আগষ্ট) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই রায় দেন।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত ইমরান হোসেন আকবর উপজেলার সেতিনারায়নপুর গ্রামের বড় বাড়ীর ছেরাগ আলীর ছেলে। হত্যার শিকার ছেরাগ আলী ওই বাড়ীর মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী ইমরান উশৃঙ্খল প্রকৃতির। তিনি নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে প্রায়ই মারধর করতেন। যার কারণে ২০১৭ সালে স্ত্রী ও সন্তান পিত্রালয়ে চলে যায়। এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে নিজ বাড়ীতে পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে তার বাবার মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। ঘটনাস্থলেই ছেরাগ আলীর মৃত্যু হয়। ওই সময় তার মা ফুলমতি বেগম স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও মেরে আহত করেন ইমরান। পরিবারের লোকজন ফুলমতি বেগম উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং পুলিশ এসে ছেরাগ আলীর মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই দিনই শাহরাস্তি থানায় ইমরানকে হত্যা মামলার আসামী করে ছোট ভাই মো. সোলেমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর ২১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুর রহমান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর ওই বছর ২ নভেম্বর তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি ৩ বছরের অধিক সময় চলা অবস্থায় আদালত ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবে বিএনপির আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মৌন মিছিল 

শাহরাস্তিতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

Update Time : 08:15:10 pm, Wednesday, 2 August 2023

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় পারিবারিক কলোহের ঘটনায় বাবা ছেরাগ আলী (৭৫) কে ধারালো দা দিয়ে মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে ইমরান হোসেন আকবর (৪০) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২ আগষ্ট) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই রায় দেন।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত ইমরান হোসেন আকবর উপজেলার সেতিনারায়নপুর গ্রামের বড় বাড়ীর ছেরাগ আলীর ছেলে। হত্যার শিকার ছেরাগ আলী ওই বাড়ীর মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী ইমরান উশৃঙ্খল প্রকৃতির। তিনি নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে প্রায়ই মারধর করতেন। যার কারণে ২০১৭ সালে স্ত্রী ও সন্তান পিত্রালয়ে চলে যায়। এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে নিজ বাড়ীতে পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে তার বাবার মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। ঘটনাস্থলেই ছেরাগ আলীর মৃত্যু হয়। ওই সময় তার মা ফুলমতি বেগম স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও মেরে আহত করেন ইমরান। পরিবারের লোকজন ফুলমতি বেগম উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং পুলিশ এসে ছেরাগ আলীর মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই দিনই শাহরাস্তি থানায় ইমরানকে হত্যা মামলার আসামী করে ছোট ভাই মো. সোলেমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর ২১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুর রহমান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর ওই বছর ২ নভেম্বর তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি ৩ বছরের অধিক সময় চলা অবস্থায় আদালত ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।