শিরোনাম:
আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবেনা, অপরাধীদের বিচার রাষ্ট্র করবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক টঙ্গীতে সেই দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কু পিয়ে হ ত্যা করেছে তাদের মা নোয়াদ্দা শুহাদায়ে কারবালা জামে মসজিদের কমিটি গঠন হাজীগঞ্জে ব্যবসায়ী, পরীক্ষার্থী ও জানমালের ক্ষতিসাধন ঠেকাতে মেলা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

মেলার নামে অনিয়ম, চাঁদাবাজী এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির দায় বিএনপি বহন করবে না-আলহাজ্ব ইমাম হোসেন দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ  হাজীগঞ্জে সাড়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ হাজীগঞ্জের রামপুরে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, জড়িয়ে পড়লো কয়েকটি গ্রাম হাজীগঞ্জে সিগারেট পান করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ: আহত অর্ধশতাধিক উৎসবমূখর পরিবেশে হাজীগঞ্জে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর পরিবেশে চাঁদপুরেও উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

শাহরাস্তিতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩
শাহরাস্তিতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
ছবি-ত্রিনদী

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় পারিবারিক কলোহের ঘটনায় বাবা ছেরাগ আলী (৭৫) কে ধারালো দা দিয়ে মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে ইমরান হোসেন আকবর (৪০) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২ আগষ্ট) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই রায় দেন।

কারাদন্ডপ্রাপ্ত ইমরান হোসেন আকবর উপজেলার সেতিনারায়নপুর গ্রামের বড় বাড়ীর ছেরাগ আলীর ছেলে। হত্যার শিকার ছেরাগ আলী ওই বাড়ীর মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী ইমরান উশৃঙ্খল প্রকৃতির। তিনি নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে প্রায়ই মারধর করতেন। যার কারণে ২০১৭ সালে স্ত্রী ও সন্তান পিত্রালয়ে চলে যায়। এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে নিজ বাড়ীতে পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে তার বাবার মাথা, চোখ ও কানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। ঘটনাস্থলেই ছেরাগ আলীর মৃত্যু হয়। ওই সময় তার মা ফুলমতি বেগম স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও মেরে আহত করেন ইমরান। পরিবারের লোকজন ফুলমতি বেগম উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং পুলিশ এসে ছেরাগ আলীর মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর ইমরান হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই দিনই শাহরাস্তি থানায় ইমরানকে হত্যা মামলার আসামী করে ছোট ভাই মো. সোলেমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর ২১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুর রহমান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর ওই বছর ২ নভেম্বর তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি ৩ বছরের অধিক সময় চলা অবস্থায় আদালত ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০