ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে নেতানিয়াহু প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি বিশ্লেষক বেন কাসপিট। তিনি হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা নিউজকে রোববার (২৮ এপ্রিল) জানিয়েছেন, “নেতানিয়াহু এবং অন্যরা হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইসরায়েলের অবস্থানের জন্য এটি খুবই খারাপ একটি বিষয় হবে।”
নেতানিয়াহু ও অন্যান্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেন আইসিসি পরোয়ানা জারি না করে সেজন্য কূটনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে ইসরায়েল। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
বিশ্লেষক বেন কাসপিট আরও জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে অব্যাহতভাবে টেলিফোনে কথা বলে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। তার মূল নজর এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ওপর। নেতানিয়াহুর বিশ্বাস বাইডেনের সহায়তা নিয়ে তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
প্রভাবশালী ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজকে অপর এক বিশ্লেষক আমোস হারেল লিখেছেন, আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এই সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন বলে ধারণা করছে ইসরায়েলি সরকার। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখে এখন তারা কাজ করছে।
জানা গেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট এবং সেনাপ্রধান হেজরি হালেভির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে।
হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। কিন্তু সদস্য না হয়েও তারা এখন পরোয়ানা ঠেকাতে কাজ করছে। কারণ যদি পরোয়ানা জারি হয় তাহলে এই আদালতের সদস্য দেশগুলোতে গেলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে।
২০২৩ সালের ১৭ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি।